পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সরকার উৎখাতে যুক্তফ্রন্টের নামে দুর্নীতিবাজরা এক হয়েছে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্টের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতি যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী চ্যালেঞ্চ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সরকারের এমন কোন মন্ত্রণালয় নেই যা দুর্নীতি মুক্ত। এ ছাড়া যুক্তফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব এবং মাহমুদুর রহমান মান্নাও প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের হোটেল হিলটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যুক্তফ্রন্টের নামে দুর্নীতিবাজরা এক হয়েছে। তবে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। নৌকা মার্কাই জয়ী হবে। সুদখোর-ঘুষখোর, খুনি, দুর্নীতিবাজরা একত্র হয়ে সরকারবিরোধী জোট গড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন যুক্তফ্রন্টের নেতারা। যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কি বলতে চেয়েছেন? বি চৌধুরী দুর্নীতিবাজ? কামাল হোসেন দুর্নীতিবাজ? আ স ম আবদুর রব দুর্নীতিবাজ? মাহমুদুর রহমান মান্না দুর্নীতিবাজ? প্রধানমন্ত্রী যদি বিএনপির দুর্নীতির কথা বলে থাকেন তাহলে তারা তার জবাব দেবে। সরকারপ্রধানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি তো চ্যালেঞ্জ দিয়েছি, ওনাদের একটা মন্ত্রণালয় দেখান, যেখানে দুর্নীতি নেই। যদি দেখাতে পারেন, তাহলে আমরা খুশি হবো। দেশের মানুষ খুশি হবে।
যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা কে কী, তা দেশের জনগণ জানে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়, সশস্ত্র যুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকেই সিআইএর দালাল, ভারতের দালাল বলেছে। মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা অনেকেই বলেছে। দেশের জনগণ জানে, কে কী।
যুক্তফ্রন্টের আরেক অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা তো দুর্নীতিবাজ নই, আমাদের নামে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।