Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মান-অভিমানের কিছু নেই, রাজনীতি হলো নীতির প্রশ্ন

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ’রাজনৈতিক মান-অভিমান’ ভাঙ্গাতে কোন উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, এখানে মান-অভিমানের কিছু নেই, এটা হচ্ছে নীতির প্রশ্ন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও আইনের প্রশ্ন। দেশের মানুষকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে পেরেছি সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এখানে কে মান-অভিমান করলো, কার মান ভাঙ্গাতে যাব- সেটা আমি জানি না। তবে সহানুভূতি দেখাতে যেয়ে যদি অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়, সেখানে আর যাবার কোন ইচ্ছা আমার নেই।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। প্রশ্ন করতে গিয়ে জাপার সদস্য মো. ফখরুল ইমাম বলেন, একটা পিছিয়ে পড়া জাতিকে উন্নয়নে ভাসিয়ে দেওয়ার নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের এতো উন্নয়ন হয়েছে, যার রূপকার অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা নিয়ে কারোর মনে কোন প্রশ্ন নেই। তবে দেশে যে রাজনৈতিক মান-অভিমান চলছে, বাড়তে থাকা দূরতে ক্ষোভের পাহাড় জমছে। রাজনৈতিক এই সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুর চেয়ে কম গুরুত্ব নয়। এটা ভাঙ্গাতে প্রধানমন্ত্রী কোন উদ্যোগ নেবেন কি না?
জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে মান-অভিমানের বিষয়টি কোথায় থেকে এলো জানি না। এটা হচ্ছে নীতির প্রশ্ন। আইনের প্রশ্ন। কেউ যদি দুর্নীতি করে, এতিমের টাকা চুরি করে, মানুষ খুন করে, খুন করার চেষ্টা চালায়, গ্রেনেড মারে, বোমা মারে তার বিচার হবে- এটাইতো স্বাভাবিক। এখানে কে মান-অভিমান করলো, কার মান ভাঙ্গাতে যাব- সেটা আমি জানি না। তিনি আরো বলেন, দেশটা আমাদের কারও একার নয়। দেশটা আমাদের সকলের। আর দেশ ও জনগণের কল্যাণ করাই একজন রাজনীতিবিদের প্রধান দায়িত্ব। আর আমরা রাজনীতি করি নিজেদের স্বার্থে নয়, নিজেদের লাভ-লোকসানের জন্য নয়। আমরা দেখি জনগণের কল্যাণ, জনগণের স্বার্থ।
আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আলহাজ্ব বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করে চলছে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতি মুক্ত করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • জাহিদ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৩:০০ এএম says : 0
    একদম ঠিক কথা বলেছেন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:৩৮ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে সঠিক কথাই বলেছেন। যদি ওনাকে যে প্রশ্নটা করা হয়েছে সেটাও জানতে চাইতে পারে এতে কোন আসুবিধা নেই। তবে প্রশ্নটা কায়দা করে করা হয়েছে যাতে বর্তমানে বিএনপির সাথে একটা সমঝোতার উদ্যোগ আন্তর্জাতিক ভাবে নেয়া হচ্ছে সেটাকে কাটানোর জন্যেই সংসদে এধরনের প্রশ্ন আনা হয়েছে। এই জবাব যানাকি আমরা জনগণ আগেই জানি তারপরও সেটাকে সংসদে এনে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে এর উপর কথা বলার সুযোগ দেয়া এটাই সবার ধারনা। আনেকেই মনেকরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সাপে নেউলে। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে দেশকে ভালবাসার শক্তি দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:৫৫ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই সহজ ভাবে সুন্দর যুক্তিপূর্ণ ভাষায় কথাগুলো বলেছেন এরপর আর কোন কথা থাকতে পারেনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ