পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কথা বলার স্বাধীনতা সবারই আছে। সংবাদপত্র, সাংবাদিকদের স্বাধীনতার কথা আমরা সব সময় বিশ্বাস করি। এটা কেউ বলতে পারবে না যে কারো গলা টিপে ধরেছি, কারো মুখ টিপে ধরেছি অথবা কাউকে বাধা দিয়েছি- দেইনি, দেই না। বরং সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করেছি।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দূর্ঘটনাজনিত আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ একথা বলেন প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি স্বাধীনতা ভালো। তবে, এখানে একটা কথা আছে- স্বাধীনতা ভাল তবে তা বালকের জন্য নয়। কাজেই এ ধরনের বালখিল্য ব্যবহার যেন কেউ না করে সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার পক্ষে, বিপক্ষে মিডিয়ায় কে কি লিখলো, না লিখলো আমি চিন্তা করি না। আমি চিন্তা করি আমি যে কাজটা করছি সেখানে নিজের আত্মবিশ্বাসটা আছে কি না, সঠিক করছি কি না, নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই আমি চলি।
সংবাদপত্র-টেলিভিশনে কখনো ভালো প্রচার পাননি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি দেশের জন্য। তবে আমি এটা ব্যক্তিগতভাবে বলবো আমি তো কখনো সংবাদপত্রে বা টেলিভিশনে খুব ভালো প্রচার ওভাবে পাইনি, সহযোগিতা ওভাবে পাইনি।
তিনি বলেন, হতে পারে সেখানে যারা মালিক হয়তো তাদের কারণে। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক সব সময় রয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। প্রেসক্লাবে যাওয়া, ডালপুরি খাওয়া- সেটাও একটা সম্পর্ক ছিল।
ছোটবেলা থেকে সংবাদপত্র পাঠের অভ্যাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্রিকা যে সব সময় আমার জন্য সব ভালো কথা লেখে তা নয়। তারপরও পড়ি। কোথাও কোনো ঘটনা আছে কিনা, কেউ কোনো কষ্টে আছে কিনা, পাশে একটি দাগ দেই। সরকারে থাকায় সুবিধা আছে। এটা মার্ক করে রেখে দেই বা আমার পিএস বা এপিএস তাদের একটা এসএমএস পাঠাই ওমুক জায়গায় এই অসুবিধা আছে তোমরা দেখো।
আবাসন সমস্যা নিয়ে সাংবাদিক নেতারা সহযোগিতা চাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে আবাসনের সমস্যার কথা উঠেছে। বিষয়টি আমি জানি। আমরা এখন কিছু ফ্ল্যাট করছি যেটা সামান্য টাকা দিয়ে, কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ করে এই ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন। যারা চান ভাড়া থেকেই মূল্যটা পরিশোধ করতে পারবেন। প্রতিমাসে ভাড়া হিসেবে যেটা সেটা মূল্য হিসেবে ধরা হবে। সেভাবে আমরা ফ্ল্যাট দিতে পারবো।
সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ডে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই ফান্ডে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মালিকদের অনুদান দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মোট ১১৩ জনের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।