পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত সরকারের কাছে নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। উভয় দেশের জনগণের উন্নতি-সমৃদ্ধির জন্য আমরা সমৃদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং কাজ করে যাব।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি নিশ্চিত যে, আমাদের জনগণের বৃহত্তরও কল্যাণের জন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মধ্যে উপস্থিত হবে।
গতকাল বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন।
এছাড়াও উভয়দেশের প্রধানমন্ত্রী আরও দুইটি পৃথক-পৃথক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে আরও সুদৃঢ় করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এ সহযোগিতায় পাশে থাকার উদারতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন সম্ভাবনার দিগন্ত আরও সম্প্রসারিত হবে। বিগত কয়েক বছরে আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমরা উভয় দেশের জনগণের উন্নত সমৃদ্ধির জন্য সমৃদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমরা কাজ করে যাবো। বাংলাদেশ ভারতের জনগণ সবসময়ই ভালো প্রতিবেশী।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৯৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হলে বাংলাদেশের পণ্য যেমন চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ভারতসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যেতে পারবে তেমনি উত্তরপূর্বে ভারতের রাজ্যগুলোয় সরবরাহ করা যাবে।
অনুষ্ঠানে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করে একে অপরের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজী, আপকো (আপনাকে) ধন্যবাদ। কাল আপকে জনমদিন থে (গতকাল আপনার জন্মদিন ছিল), জনমদিন মোবারক হো (জন্মদিনের শুভেচ্ছা নেবেন)। অর আপ দীর্ঘজীবী হো (আপনি দীর্ঘজীবী হোন)।
শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষে নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্য রাখার এক পর্যায়ে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে ১০ দিন আগেই আগাম শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে সামনে রেখে মোদি বাংলায় বলে উঠেন, ‘শুভ জন্মদিন’। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী দিনের সাফল্য ও দেশসেবায় সফলতা কামনা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীসহ উপস্থিত সবাই হাসি ও করতালি দিয়ে মুহূর্তটি উপভোগ করেন।
জ্বালানি সরবরাহের পাইপলাইনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে অর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং নয়াদিল্লী প্রান্তে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।