পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা বিশ্বাস ফিরে এসেছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, একটি দেশকে উন্নত করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা। বাংলাদেশের পুলিশ সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
গতকাল সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে যখন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বাংলা ভাই সৃষ্টি হয়েছে তাদের মোকাবেলায় পুলিশ র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। আজকে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি-সন্ত্রাস একটা বড় সমস্যা। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ছোট্ট জায়গায় পুলিশ সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই জঙ্গিবাদ দমনে আমরা সফলতা অর্জন করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা আমি যা দেখেছি তা অতুলনীয়। কোনো ঘটনা ঘটলে রাতদিন যখনি হোক আমি যখনি তাদের ফোন করেছি সাথে সাথে সাড়া পেয়েছি। তাদের কাজের কোনো কর্মঘণ্টা নাই, সময় নাই, ছুটি নাই। রাত নাই দিন নাই যখনি মানুষের সেবা দরকার তখনি তাদের ছুটে যেতে হচ্ছে, কাজ করতে হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসেরও শিকার হয়েছে পুলিশ বাহিনী। প্রায় ২৭ জন পুলিশ নিহত হয়েছে সেই সময়। তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যা বেড়েছে সেই তুলনায় পুলিশের সংখ্যা বাড়েনি। জনগণকে সেবা দিতে সবচেয়ে বেশি কষ্টটা করতে হয় পুলিশ বাহনীকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল মানুষের জন্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা পুলিশ বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়েছি। তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এই যে নতুন মেট্রোপলিটন গঠন করা হলো এতে অনেক পুলিশ সদস্যের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের পদেরও আপগ্রেডেশন করা হয়েছে। এ সময় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
এরপর গতকাল অপরাহ্নে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের শেখ হাসিনা তার নামে দু’টি সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরই সেতু দু’টি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। যার একটি হচ্ছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর ওপর ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ এবং অপরটি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলায় তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হবে ততই জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নয়ন ঘটবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচনকে মাথায় রেখেই সরকার দেশের সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে।
তিনি বলেন, মানুষ নৌকায় ভোট দিলেই কেবল উন্নয়নের দেখা পায় এবং এটা এখন প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই শুধু দেশের উন্নতি হয়।
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এ সময় রংপুর প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী এবিএম তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ বাঞ্চারামপুর প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গঙ্গাচড়া এলাকার একজন উপকারভোগী চিকিৎসক আরও একটি ব্রিজের দাবি করলে প্রধানমন্ত্রী রংপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘ক্যাংকা করে কাজ করি বাহে। রংপুরে নৌকায় তো ভোট পাই না। উন্নয়ন করি আমি, আর ভোট দাও লাঙ্গলে।’ পরে ওই এলাকার উপকারভোগীরা নৌকায় ভোট দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।
একদা উত্তরবঙ্গের অবহেলিত থাকার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় উত্তরবঙ্গের বহু এলাকার মত গঙ্গাচড়াও মঙ্গা প্রবণ এলাকা ছিল। কিন্তু সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নে আজ আর মঙ্গা নেই এই শব্দটিই যেন হারিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের শাসনেই দেশ থেকে মঙ্গা চির বিদায় নিয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।