পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাক করে ৮১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া সহ বিশ্বজুড়ে আলোচিত আরও একাধিক হ্যাকিং-এর দায়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার যে নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে, তার কোনো অস্তিত্বই নেই বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই’র মোষ্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত পার্ক জিন হায়োক সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিং ছাড়াও ‘ওয়ানা ক্রাই ২.০’ ভাইরাস দিয়ে সাইবার আক্রমন ও ২০১৪ সালে সনি পিকচার্সে হ্যাকিং এর জন্য দায়ী।
উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পার্কের কোন অস্তিত্ব নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় যে অপরাধে আমাদেরকে জড়িত বলে দাবী করেছে তাতে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।’ তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা থেকে তাদের বিরত থাকা উচিত। এতে তাদের কোন লাভ হবে না বরং এতে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন আইন মন্ত্রণালয় পার্ক জিন হায়োকের বিরুদ্ধে ১৭৬ পৃষ্ঠার অভিযোগনামা প্রকাশ করে যেখানে তাকে ‘ল্যাজারাস গ্রুপ’ এর প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করে উত্তর কোরিয়া সরকারের হয়ে অথবা কোরিয়ার ওয়ার্কাস পার্টির হয়ে বিশ্বজুড়ে একাধিক ধ্বংসাত্মক সাইবার হামলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ২০১৪ সালের সনি পিকচার্সে চালানো সাইবার আক্রমণও রয়েছে। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের নেটওয়ার্ক বিকল করে দিতে যে ভাইরাস ব্যবহৃত হয়েছিল, সেটিও তার বানানো। সে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং-এর মাধ্যমে ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাট করা, দক্ষিণ কোরিয়ার ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময় কোম্পানির নেটওয়ার্কে আক্রমণ করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহ বেশ কয়েকটি আলোচিত অপরাধের প্রধান সন্দেহভাজন। মার্কিন রাজস্ব বিভাগ পার্ক জিন-হ্যোকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই ওই অভিযুক্তের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।
ধারণা করা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কড়া অবরোধ বলবৎ থাকায় কার্যত অর্থ সংকটে ভুগতে থাকা উত্তর কোরিয়া দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও বৈদেশিক মুদ্রা আনতে হ্যাকিং গ্রুপগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্ক মার্কিন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবে, এমন সম্ভাবনা কম। উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ মার্টিন উইলিয়ামস বলেন, এটি মূলত প্রতীকী পদক্ষেপ। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলার যেসব অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে, সেগুলোকে মিথ্যা প্রমান করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। সূত্র : ওয়াশিংটন টাইমস, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।