পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাচুরিয়া থেকে ফরিদপুর হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে গত বছর। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই রেলপথটির ১১টি স্থানে মাটি ধসে গেছে। এ কারণে আর রেলপথটি উদ্বোধন করা যায়নি। দোষী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির ব্যবস্থাও করেনি রেলওয়ে। বরং রেলপথটি মেরামতে ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি যাচাইকালে উদ্বোধনের আগেই রেলপথের অ্যামব্যাংকমেন্ট ধসের বিষয়টি তদন্ত ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়নি এমন কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দিয়েই কাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনপূর্বক মেরামত সম্পন্ন করার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।
এ জন্য ১৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার নতুন একটি প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদিকে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত মঙ্গলবার প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে গেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। একনেক সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোড়াদহ গোয়ালন্দ রেলওয়ের মেইন লাইন হতে পাচুরিয়া-ফরিদপুর শাখা লাইন নির্মাণকাজ সমাপ্তির পর ১৯৩৬ সালে সেকশনটি চালু করা হয়। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এ রেলপথটি চালু ছিল। তহবিল সংকটের কারণে এ সেকশনটি যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। এতে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রেলপথটি বন্ধ হয়ে যায়।
একনেক বৈঠকে জানানো হয়, বর্ধিত সময়ে নির্মাণকাজ শেষ হলেও উদ্বোধনের আগে ফরিদপুর-পাচুরিয়া অংশের ১১টি স্পটে মাটি ধসে পড়ে। এতে এক দশমিক ৭২ কিলোমিটার অ্যামব্যাংকমেন্ট পুননির্মাণ করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে অ্যামব্যাংকমেন্টের ভারবহন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাটির সঙ্গে তিন শতাংশ সিমেন্ট মেশানের সুপারিশ করে বুয়েট। এ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাব করা হয়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের পাচুরিয়া-ফরিদপুর ভাঙ্গা রেলপথ পুনর্বাসন ও নির্মাণ এবং ভবিষ্যতে পাবনা জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ২০১০ সালের ১০ মে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন করা হয়। সে সময় রেলপথটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৬৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা ছিল।
কিন্তু রেলপথ নির্মাণে ব্যবহৃত বিভিন্ন আইটেমের মূল্য বৃদ্ধি, ব্রিজের কাঠামোগত পরিবর্তন ও অন্যান্য নির্মাণখাত যুক্ত হওয়ায় প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এতে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৯২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে সময় প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত। পরবর্তীতে তা চার দফা বাড়িয়ে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
নতুন হিসেবে এই প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় ব্যয় বেড়েছে ৫৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত মঙ্গলবার একনেক সভায় এ সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুমোদন হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, বুয়েটের সমীক্ষার আলোকে ব্যয় প্রাক্কলনের সামঞ্জস্যতা তথা যথার্থতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন-সংযুক্ত) আহ্বায়ক করে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনপূর্বক ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করে। এতে ধসে যাওয়া স্পটগুলো মেরামতের বিষয়টি ডিপিপিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।