Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস না করার আহবান টিআইবির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৬ এএম | আপডেট : ৫:৫২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

অংশীজনদের অধিকাংশ সুপারিশ অগ্রাহ্য করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করায় হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এ বিল পাস না করারও আহ্বায়ক জানানো হয় টিআইবির । বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অংশীজনদের মতামত অগ্রাহ্য করে গণমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ঝুঁকিপূর্ণ ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল এর বিতর্কিত ধারাসমূহ অপরিবর্তিত রেখে সংসদীয় কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। একদিকে প্রস্তাবিত বিলের ৮, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাগুলোর ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্বেগ ও মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা তাদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে বিতর্কিত ৩২ ধারার ডিজিটাল গুপ্তচর বৃত্তির ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ অনুসরণের সুপারিশ করার দৃষ্টান্ত অত্যন্ত হতাশা ও দুঃখজনক।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারার অপপ্রয়োগের ফলে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তথ্য জানার আইনি অধিকার ব্যাপকভাবে রুদ্ধ হবে এবং এর ফলে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধের অধিকতর বিস্তার ঘটবে। তাছাড়া, ধারাটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং যেকোনো ধরনের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ আরো বলেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে তা সংবিধানের মূল চেতনা বিশেষ করে মুক্তচিন্তা, বাক্-স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশের পথ ব্যাপকভাবে রুদ্ধ হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা বোধ সৃষ্টি করবে। সরকার ও বিশেষ করে জাতীয় সংসদ এ আত্মঘাতী পথ থেকে সরে এসে বিষয়টি নিয়ে অংশীজনের সাথে আরো আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, টিআইবি মনে করে সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে প্রস্তবিত আইনটি সেক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনে সরকারের পাশাপাশি জনগণ, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকাও সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে।



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৩:৪১ পিএম says : 0
    Eai digital ayn pash korar oddesho holo kehoy jeno s FB teo shorkarer doler shomalochona korte na pare....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিআইবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ