Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এই সংসদের অনেক এমপিই বিএনপির নির্যাতনের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় অনেক নেতাকর্মীকে অত্যাচার নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে দেড়শ’ মানুষকে হত্যা করা হয়, এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী ছিলেন। এখানে অনেক সংসদ সদস্য রয়েছেন যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও সরকারি দলের এমপি এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুতে সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অনেক দক্ষ দু’জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা একজন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ছিলেন। তিনি একজন প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। তাকে হারিয়ে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, যা আর পূরণ হবার নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাজুল ইসলাম চৌধুরীর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। তিনি মনে প্রাণে চেয়েছিলেন নির্বাচনটা যাতে হয়। এই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে তার আন্তরিকতা ছিল। ওই নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।
বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, তাজুল ইসলাম ও মোস্তফা রশিদী সুজা এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এটা আমরা মনে করিনি। তারপরও প্রকৃতির নিয়ম, আমাদের মেনে নিতেই হবে। তিনি বলেন, তাজুল ইসলাম একজন ভালো পার্লামেন্টিরিয়ান ছিলেন। তিনি সংসদে থাকলে আমাকে আর চিন্তা করতে হত না। তাজুল ইসলামের শূন্যতা কখনও পূরণ হবার নয়।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, মোস্তফা রশিদী সুজা একজন সাহসী মানুষ ছিলেন। তার সাহসী ভূমিকার ফলে খুলনা আওয়ামী লীগ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। ক্লিন হার্ট অপারেশনে তার ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে এজন্য তার অকাল মৃত্যু হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও মোস্তফা রশিদী সুজা দু’জনই সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। তারা দু’জনই বিনয়ী ও ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন, তাজুল ইসলাম একজন চমৎকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ ছিলেন। দুজনই বিনয়ী, সদালাপী মানুষ ছিলেন। সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, সুজা জীবনে অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে দলের প্রতি আনুগত্য ছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক কর্মী ছিলেন। শুধু রাজনীতিই নয়, তিনি একজন ভালো ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তিনি কখনও মাথানত করতেন না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াত তার মতো জনপ্রিয় নেতাকে নির্যাতন করে হত্যা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল। সেলিম বলেন, তাজুল ইসলাম ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনিও ন্যায়ের জন্য সারাজীবন লড়াই করেছেন।
বক্তব্য রাখেন,এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম ওশন এরশাদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা. সরকারি দলের সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা, আব্দুস সালাম মোর্শেদী, মনিরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, নুরুল ইসলাম উমর, ফখরুল ইমাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ