পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চুক্তি কার্যকরে মিয়ানমারকে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের রিজিওনাল হাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল মানবিক কারণে। কিন্তু মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
“বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে একটি মানবিক সঙ্কট মোকাবিলা করছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত উম্মুক্ত করে দিয়ে তাদের প্রবেশ করতে দিয়েছে।
“নিজস্ব সম্পদ, বাস্তুসংস্থান ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে জানা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করতে দিয়েছে। এখন আমরা তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চাই।”
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে গতবছর অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও গত দশ মাসে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।
সম্প্রতি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনায় মিয়ানমার কখনো আপত্তি করে না। কিন্তু বাস্তবতা হল- তারা বলে, কিন্তু করে না।
এ কারণে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এডিবির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সুনির্দিষ্ট কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার জন্য আইডিবিকে আমি সুদৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।”
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবলায় ক্ষেত্রেও বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার জন্য ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সভাপতির প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমন এবং অভিযোজনের জন্য ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনার আওতায় বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতে বিনিয়োগের চাহিদা, বর্তমান অবস্থা ও ঘাটতি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ একটি কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (২০১৬-২০২১) তৈরি করেছে, যা বাস্তবায়নে মোট ১১.৭ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।