পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হচ্ছে না দাবি করে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা ক্যামেরা ট্রায়াল নয়। পুরো দরজা খোলাই ছিল। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল হলো কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যামেরা ট্রায়ালে কোথায় বিচার হচ্ছে? দরজা তো খোলাই ছিল। তার (খালেদা জিয়ার) আইনজীবীরা ভেতরে যায় নাই। তাদের (বিএনপির) কোনও কোনও আইনজীবী গেটে গিয়ে বসেছিল। কিন্তু কোর্টের রুমে ঢুকে নাই। তারা আশপাশে বসেছিল। অবাধে সবাই যাতায়াত করতে পেরেছে। এটা কীভাবে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আদালতে হাজির না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা কেন যায়নি? তাহলে তারা কি জানে যে, খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করা যাবে না। তাই তারা যায়নি।
গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও নিরাপত্তা বিবেচনা করে কারাগারে কোর্ট বসানো হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচার এটা নতুন কিছুু নয়, বাংলাদেশে এর আগেও কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচার করা হয়েছে। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়েই এরকম বিচার হয়েছে। বিডিআরের মামলার বিচার কারাগারের জায়গায় কোর্ট বসিয়ে করা হয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়কার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান কারাগারে কোর্ট বসিয়ে বিচার করেছিলো। তাহলে কি জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো বলে জেলে কোর্ট বসিয়ে বিচার করতে পারবে? তাহলে তারা (বিএনপি) বলুক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো।
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অপরাধী অপরাধীই, তার বিচার হবেই। খালেদা জিয়ার মামলা নাকি প্রতিহিংসা পরায়ণ। এখানে প্রতিহিংসার কী আছে? এতিমের টাকা তো আমরা খাইতে চাই না। ভাগ বাটোয়ারা করে যে ভাগে কম দিয়েছে, তাই হিংসা করবো।
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, খালেদা জিয়ার যদি নির্দোষ হতো তাহলে তার আইনজীবীরাই প্রমাণ করতে পারতো যে, সে নির্দোষ। কাজেই অপরাধীর সাজা তো হবেই।
গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে বলেছেন আমাকে সাজা দেওয়ার জন্যই এখানে আদালত বসানো হয়েছে। এখানে ন্যয় বিচার নেই। আপনাদের যা মন চায়, আমাকে ততদিন ইচ্ছা সাজা দিয়ে দেন। আমি অসুস্থ বারবার আদালতে আসতে পারবো না। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা কোন ধরনের কথা? একজন মানুষ যিনি সংবিধান মানেন, আইন মানেন, তিনি কীভাবে বলেন যে, আমি আদালতে যাবো না আপনারা পারলে সাজা দিয়ে দেন। নিজেকের নিরাপরাধ মনে করলে তিনি অবশ্যই আদালতে আসবেন। তিনি বলেন, আমার নামেও তো মামলা ছিল। কই আমি তো পালিয়ে যাই নি। তিনি কোনো কোর্টে যান না? অপরাধী বলেই তিনি আদালতে যান না। খালেদা জিয়ার অপরাধী মন!
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় যে দলের জন্ম সে দলের নিকট থেকে সংবিধানের কথা শুনতে হয়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে গৃহ পরিচারিকা থাকে তাকে কোন আইনের বলে তার সঙ্গে রাখেন? খালেদা জিয়া ঘুমাতে পারবে না বলে বিশেষ অর্থপেডিক গদি সরবরাহ করেছি এটা কোন আইনে আছে? এটা কী তিনি জানতেন না? অথচ খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিমান বাহিনীর প্রধান, সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও রওশন এরশাদকে কারাগারের ফেøারে রেখেছেন।
এসময় বিএনপি নেতাদের এই ধরনের মিথ্যা ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতারা বলেন প্রতিহিংসা। প্রতিহিংসা কিসের? আমরা কি এতিমের টাকা ভাগ-বাটোয়োরা করে খেতে চেয়েছিলাম?
যুক্তফ্রন্ট ও ড. কামাল হোসেনের জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ থাকুক। আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশ নিক। কিন্তু তারা যেন বিএনপি জামায়াতের উপর ভর না করে। ড. কামালের নাম উল্লেখ না করে তাকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজে সংবিধান প্রণেতা হিসেবে দাবী করে কিন্তু তিনি কীভাবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ক্ষমতা চান কীভাবে? ওই খাল কেটে কুমির আর আনতে দিবো না।
সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পরে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। পরে শুরু হয় রুদ্ধদার বৈঠক। এতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন এবং শেখ রাসেলের জন্মদিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।