পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশের বিদ্যুৎ খাতকে যেভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা নজিরবিহীন, যা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৮ উদ্যাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশে এখন ৯০ শতাংশ নাগরিকই বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। সবাইকে এ সেবার আওতায় আনতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সুযোগ আর থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম মাত্র ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। চারদিকে হাহাকার। এ দেশের অধিকাংশ মানুষের ঘরে আলো ছিল না। সেই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য প্রথম আইন করে আমরা বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করি এবং বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিই।
তিনি বলেন, আমরা মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ১ হাজার ৬০০ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকারে আসি, তখন দেখি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ যা আমরা রেখে গিয়েছিলাম, তার চেয়ে কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছরে কোনো দেশ এভাবে পিছিয়ে যায়, সেটাও আমার জানা ছিল না। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৬ দশমিক ২৫ টাকা/কিলোওয়াট এবং বিক্রয়মূল্য রাখা হয়েছে ৪ দশমিক ৮২ টাকা/কিলোওয়াট। কাজেই এখানে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। তবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যত হতে থাকবে, ভবিষ্যতে বিদ্যুতে যতটা খরচ হবে, ততটাই তাদের প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সহযোগিতা চুক্তির আওতায় স্থাপিত দুই দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রথম গ্রিড আন্তসংযোগের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এ ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতের কাজ চলছে। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় গ্রিড আন্তসংযোগ উদ্বোধনের মাধ্যমে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত মাসেই তাঁর সরকার নেপালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। অনির্বাণ আগামী প্রতিপাদ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের সাফল্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদানে এই জ্বালানি সপ্তাহ উদ্যাপিত হচ্ছে। জ্বালানি সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে আছে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা, জ্বালানি বিষয়ে সেরা প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিক ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদান এবং গৃহস্থালি, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী গ্রাহকদের সম্মাননা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচবিষয়ক মন্ত্রী বর্ষা মান পুন অনন্ত, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগে সরকারের সাফল্য ও পরিকল্পনা নিয়ে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সরকারের বিদ্যুৎ খাতের সাফল্য নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।