পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একই অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন,অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জন আস্থা অর্জনে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে করতে হবে। সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সংসদ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি।
গতকাল বুধবার ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া ( ফেম্বোসা) এর নবম সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরি বলেন, সামনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। শক্তিশালী গণতন্ত্র চর্চায় আরপিও ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ।
সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই সম্মেলন আমাদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে উৎসাহী করবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তভুক্তিমূলক নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। এ জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা অন্যতম প্রধান শর্ত। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করাই ফেম্বোসা’র মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন খুব নিকটে । ইতোমধ্যে কমিশন স্মার্ট কার্ডসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্ততি গ্রহণ করছে। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ বিজয় ছিনিয়ে আনে।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তান,শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশন হতে মোট ২১ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ১ম সাধারণ অধিবেশনে ফেম্বোসার বর্তমান চেয়ারম্যান স্বাগতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট ফেম্বোসার চেয়ারম্যানশিপ হস্তাসন্তর করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তিনটি সাধারণ ও ৮টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেশনে অংশগ্রহণকারীগণ নির্বাচনের বিভন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশ হতে ২০১০ সালে ফেম্বোসার যাত্রা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলংকা, ২০১৬ সালে মালদ্বীপ ও ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নামের বর্ণনাক্রমে ঘুরে এসে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ভোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভুটানের নির্বাচন কমিশন সচিব দাউয়া তানজিন, ভারতের নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, মালদ্বীপের এম্বাসেডর এশাথ শান শাকির, নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা. আইয়োদী প্রাশাদ জাদেভ, পাকিন্তানের ভারপাপ্ত হাইকমিশনার শাহ ফয়সাল কাকার, শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান মাহিন্দ্রা দেশাপ্রিয়াসহ বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনারগণ এবং দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।