পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাদন্ড দেয়ার পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ভূমিকা নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মানবাধিকার নেতা হিসেবে এরই মধ্যে তার ভাবমর্যাদা বিনষ্ট হয়েছে বলে অনেকে মত দিয়েছেন। যদিও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা না নেয়ায় এর আগেই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন সু চি।
একটা সময় সু চি মুক্ত গণমাধ্যমের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তাকে বিদেশি গণমাধ্যমের ‘বন্ধু’ও মনে করা হতো। জান্তা সরকারের হাতে গৃহবন্দি থাকাকালে গণমাধ্যমই তাকে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। সে সময় মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী হিসেবে সু চিকে সর্বজন গ্রহণযোগ্য দালাইলামা, নেলসন ম্যান্ডেলা ও মার্টিন লুথার কিংয়ের সঙ্গে তুলনা করা হতো। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সু চির ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। দেশটিতে অর্ধশতাব্দীর সামরিক শাসন শেষে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। যদিও সু চির সমর্থকরা মনে করে, সু চির সরকারের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর এখনো নিয়ন্ত্রণ আছে।
গত বছর রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের পর আন্তর্জাতিক মহলে সু চির ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযান নিয়ে মুখ না খোলায় সু চির বিষয়ে হতাশ হয়েছেন তার সাবেক বন্ধু-সমর্থকরা। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের তদন্তদল ওই অভিযানকে মোটা দাগে ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ বলে মন্তব্য করেছে। সোমবার দেয়া রায়ে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে ওউয়ের সাত বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বিতর্কিত এ বিচার নিয়ে সু চিকে নির্বিকার থাকতে দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন কিছুদিন আগেও সু চির বন্ধু হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, দুই সাংবাদিকের দুর্দশায় তিনি সহায়তা করতে এগিয়ে এলেও সু চিকে কাছে পাননি। রিচার্ডসন বলেন, সু চির প্রতিক্রিয়া ছিল রাগান্বিত। তিনি ওই সাংবাদিকদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য ও রাষ্ট্রদূত কোবসাক ছুতিকুল বলেন, সু চি ঠিক ‘বিশ্বাসঘাতক’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন কি না, তা তিনি মনে করতে পারছেন না। তবে সে সময় সু চিকে খুবই রাগান্বিত দেখাচ্ছিল।
২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার আগে সু চির সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। তবে তিনি সরকারের দায়িত্বগ্রহণের পর সাংবাদিকরা খুব হতাশ হয়েছেন। জান্তা সরকারের চেয়ে গণমাধ্যমের ওপর চাপ কোনো অংশেতো কমেই নি, বরং ক্ষেত্র বিশেষে বেড়েছে। ২০১৭ সালে ২০ জনের মতো সাংবাদিককে বিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেকেই বিতর্কিত অনলাইন মানহানি আইনের মুখোমুখি হয়েছেন। একই সময় রাখাইন রাজ্য ইস্যুতে সু চি ভুল তথ্য ও বিকৃত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বলে অভিযোগ আছে।
সু চির তথ্য মন্ত্রণালয় অনবরত দেশটির সেনাবাহিনীর সুরে কথা বলেছে। রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনাকে ‘ফেক নিউজ’ হিসেবেও প্রচার করা হয়। বাকস্বাধীনতার অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আর্টিকেল ১৯-এর ম্যাথু বার্গার বলেন, ‘এটা বলতেই হচ্ছে যে সু চির তারকা খ্যাতির উজ্জ্বলতা বিবর্ণ হয়েছে।’ - এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।