পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সরকার যদি মনে করে, সংসদ যদি মনে করে, তখন আইনী প্রক্রিয়া হলে পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটা (ইভিএম) ব্যবহার করা যাবে। জাতীয় নির্বাচনে আমাদের ইচ্ছে মতো ইভিএম দেয়া হবে না। ৩০০ আসনের মধ্যে যদি ২৫টি আসনে ব্যবহার করি, তা পূর্ব থেকে নির্ধারণ করবো না। এটা র্যানডম ঠিক করবো। আমাদের নিজস্ব পছন্দ অপছন্দ যেন প্রতিফলিত না হয় সেজন্য র্যানডম হবে এটা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোটার ও রাজনৈতিক মহলে উৎকণ্ঠা থাকাকে স্বাভাবিক। রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলে ইভিএম নিয়ে উৎকণ্ঠা বা জানার আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কারণ, আমরা এটির ব্যবহার, উপকারিতা সম্পর্কে এখনও তাদের জানাতে পারিনি। পর্যায়ক্রমে তারা সব জানতে পারবেন। এখন তো আমরা অনেক পিছনের পর্যায়ে রয়েছি। আইন কেবলমাত্র যাবে সরকারের কাছে, তারপরে কতগুলা ধাপ আছে। কেবিনেটে, পার্লামেন্টে যাবে। আমাদের যারা প্রশিক্ষিত লোক আছেন, তাদের সক্ষমতা অর্জন হয় এবং আমরা যে মেশিনপত্র প্রদর্শন করব, সেগুলো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়, তখন যতখানি আমরা পারব, ব্যবহার করব। সেটা তো অনেক দূরের কথা। এখন পর্যন্ত প্রস্তুতিমূলক অবস্থানে আমরা রয়েছি।
হুদা বলেন, সব দিক বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন মনে করেছে নির্ভুল ভাবে নির্বাচন পরিচলনা করার জন্য ইভিএম ব্যবহার করা প্রয়োজন। সরকার আইন প্রনয়ন করলে র্যানডম ব্যবহার করবো আমরা। জাতীয় নির্বাচনে আমাদের ইচ্ছে মতো ইভিএম দিবো না। ৩০০ আশনে যদি তে ২৫ টি ( ইভিএম) দিলে সেটা র্যনডমলি দেওয়া হবে। আমাদের নিজস্ব পছন্দ অপছন্দ যেন প্রতিফলিত না হয় সেজন্য র্যনডমলি হবে এটা। যে কোন উদ্যেগ নিয়ে প্রথমে কিছুটা উৎকন্ঠা থাকবেই এটাকে ইতিবাচক হিসেবে মনে করি।যারা ভোট নিয়ে নির্বাচন করবে (রাজনৈতিক দাল)।তাদের সমর্থক (রাজনৈতিক দলের)সঠিকভাবে জানতে চাবে। জনগন জানতে চাইবে তাদের টাকার অপচয় হয় কিনা...এটা অবস্যই জানতে চাইবে। আমরা এ গুলো ইতিবাচ হিসেবে নেই। ইভিএম প্রকল্প যেটা নেয়া হয়েছে এর টাকার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে আসবে না। আমাদের কাছে ( ইভিএমকেনার) তহবিলই আসবে না। আমরা এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে আলাদা ভাবে কথা বলেছি আমরা। আর্থিক বিষয় নির্বাচন কমিশন দেখবে না যানিয়ে সিইসি বলেন, সেটা সকারের অন্যকোন সংস্থা দেখেবে। ইভিএম বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে মেলা করা হবে।
সিইসি জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এটার আইনগত কাঠামো ইতোমধ্যে আছে। সেগুলো পরিচালনা করতে অসুবিধা হয় না। ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়নে, ৩৩২টা পৌরসভায়, ৪৯১টা উপজেলায় ইভিএম এগুরোতে আমরা ব্যবহার করবোই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে পত্রপত্রিকার সমালোচনা ইতিবাচকভাবেই দেখে কমিশন। নুরুল হুদা বলেন, ‹ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল, পত্রপত্রিকা কথাবার্তা বলে, আলোচনা-সমালোচনা করে।
সচিব সাহেব বলেছেন, এগুলো আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। কারণ এদেশের জনগণ, বিশেষ করে যারা প্রথম কাতারের স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উৎকণ্ঠা। কীভাবে ইভিএম আসলো, কীভাবে তা প্রয়োগ হবে, এতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবেই উৎকণ্ঠা থাকার কথা। সেটাই করেছেন। সেটা করতে গিয়ে অনেক প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, তারা অনেক প্রশ্ন করেছেন, এবং জানতে চেয়েছেন। সেটা প্রাসঙ্গিক।
নুরুল হুদা বলেন,তথ্য-প্রযুক্তির অত্যন্ত উন্নত স্থানে আমরা পৌছে গেছি প্রযুক্তি এখন আর বাক্সের মধ্যে বন্দি নেই। প্রযুক্তি এখন মানুষের হাতে হাতে, মানুষের মনে মনে, মানুষের চিন্তার মধ্যে প্রবেশ করে গেছে। এটা একটা এখন ভালো দিক। দুর্ভাগ্যজনক হলোও এই, আমরা নির্বাচন কমিশন এখনো সেই ধানি ব্যাগ, সেই ঘোড়ার গাড়ি অথবা রিকশা, ভ্যান, এর মধ্যে নির্বাচনের সামগ্রী ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বহন করে নিয়ে যেতে হয় সারা রাত। পাহারা দিতে হয়, কখন এসব বাক্সের মধ্যে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে বাক্সে ভোট ঢুকিয়ে দিবে, এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয়।
সিইসি বলেন, একসময় রেডিও ছিল, তারপরে ট্রানজেস্টর আসলো, তারপরে টেলিভিশন আসল। টেলিভিশন এখন হাতে হাতে চলে আসল। এটা একটা অবস্থান থেকে উত্তরণ। ২০১০ সালে যখন ইভিএম শুরু হয়, তখন একটা অবস্থান ছিল, সেটা ভুল-ত্রুটি কিছু ছিল। ইটিআইর মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইসি সচিব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।