পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে তুমুল বিতর্ক এবং বিরোধিতার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ইভিএম পদ্ধতিতে ইলেকশন হয়। ইভিএম দেশে নিয়ে আসার পক্ষে আমি সব সময় ছিলাম। এখনও পক্ষেই আছি। তবে এটা ঠিক, এটা একটা প্রাকটিসের ব্যাপার; তাড়াহুড়ার কিছু নেই। ভোটারদের ওপর এটা চাপিয়ে দেয়া যাবে না। নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলন থেকে দেশে ফিরে এসে গতকাল গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। যথা সময়েই নির্বাচন হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবেই; নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না এবং কোনো ধরণের সংলাপে বসার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নই আসে না। বেগম জিয়াকে ২০১৫ সালেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা তাকে গ্রেফতার করিনি। বেগম জিয়ার মুক্তি আদালত অথবা প্রেসিডেন্টের ক্ষমার উপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করছি; নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে দেবে না দিলে নাই। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের চেষ্টায় ভুঁয়া ছবি ব্যবহার করে মিয়ানমারের প্রচারণা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার অত্যান্ত জঘন্য কাজ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে নিজেরাই নিজেদের অবস্থান খারাপ করেছে। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি পেতে হলে হয় আদালত থেকে, না হয় প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। খালেদা জিয়াকে আমি গ্রেফতার করিনি, রাজনৈতিকভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে যখন জ্বালাও পোড়াও করেছে তখন তাকে গ্রেফতার করতে পারতাম, কিন্তু করিনি। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন এতিমের টাকা চুরি করে। আমরা সেই মামলা করিনি। তার পছন্দের ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সরকার মামলা করেছে। কেস তো আরও আছে। আমার নামেও তো মামলা ছিল। আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোনো মামলা তুলে নেইনি। আমি বলেছি কোন মামলার চার্জশীট দেবার আগে মামলা শেষ হবে না। বিএনপির এত নামিদামি আইনজীবী, ব্যারিস্টার অমুক-তমুক রয়েছে। তারা কেন পারলো না প্রমাণ করতে যে খালেদা জিয়া নির্দোষ, তারা এতিমের টাকা নেয়নি। তাহলে এখানে আমাদের দোষ দিয়ে লাভটা কী। তবে তাদের নেত্রী বন্দি হয়ে আছে, তাদের আন্দোলন কই? তারা আন্দোলন করুক। কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, দলটির নেতাদের এমন ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের নেত্রী বন্দি হয়ে আছে, এতে আমাদের কী করার আছে। তাকে মুক্ত করার জন্য তারা আন্দোলন করুক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তাদের চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না- দলটির এ ঘোষণার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ক্ষমতা থেকে সরে গেলে যারা একবার ক্ষমতায় বসে তারা আর ছাড়তে চায় না। মার্শাল ল, সামরিক শাসন ও কেয়ারটেকার সরকারের এমন উদাহরণ রয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছে। যদি সংসদ মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের সুযোগ সংসদ পরপর দুবার নিতে পারে। তবে সংসদ সে সুযোগ নেয়নি। একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারে যে ট্রানজিশনাল সময়, এ সময়ে যেন কোনও ফাঁক না থাকে সেজন্য এটা করা। মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে গেলে সংসদ ভেঙে দিতে হয়। সংসদ কিন্তু কখনো শেষ হয়ে যায়নি। নির্বাচনের সময় সংসদ থাকবে কিন্তু কার্যকারিতা থাকবে না। যদি কোনো ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, যদি কোনো যুদ্ধ দেখা দেয় তখন ওই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়েই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমি ভারত ও নেপাল সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশ্বের প্রত্যেকটা দেশে এ ব্যবস্থা আছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি হুঙ্কার দিচ্ছে নির্বাচন করবে না। সেটা তাদের দলের ওপর নির্ভর করবে, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। আমাদের কি করার আছে? বিএনপি যদি মনে করে নির্বাচন করবে না, তাহলে করবে না। এখানে তো আমাদের বাধা দেওয়ারও কিছু নেই বা দাওয়াত দেওয়ার কিছু নেই, এটাই পরিষ্কার কথা।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না
নির্বাচনকালীণ সরকার গঠন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নই ওঠে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর যখন বাসায় দেখতে গেলাম, তারা আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলো, ভেতরে ঢুকতে দিলো না। সেই দিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, আর তাদের সঙ্গে আমি বসবো না, কোনও আলোচনা হবে না। আপনারা যে যা-ই বলেন না কেন, ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, তাতে কিছুই আসে যায় না। আমার একটা আত্মসম্মানবোধ আছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত
বঙ্গবন্ধু হত্যায় যারা পরিকল্পনাকারী এবং সুবিধাভোগী তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা-এমন প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় তার কেবিনেটের সদস্য খন্দকার মোশতাক জড়িত। কিন্তু সে প্রেসিডেন্ট হয়েই জিয়াউর রহমানকে সেনা প্রধান করেছিল। এছাড়া কর্ণেল ফারুক-রশিদদের সাক্ষাতকারের সময় তারা বলেছিল জিয়াউর রহমানের কাছে তারা পরামর্শ চাইলে তাদের ‘গো এহেড’ বলে সামনে এগুতে বলেছিল। এতেই বোঝা যায় ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে জিয়া জড়িত ছিল। খুনের পরিকল্পনাকারী এবং সুবিধাভোগীদের বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই হত্যাকান্ড নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতে অনেক কিছুই বেড়িয়ে আসবে।
ড. কামাল, বি. চৌধুরী, রব, মান্না প্রসঙ্গে
ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরীর জোট গঠনকে সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের এই উদ্যোগ, ঐক্যকে সাধুবাদ জানাই। ঐক্য হোক, একসঙ্গে হয়ে ভোটটা করুক। বিকল্প একটা জোট থাকুক। নির্বাচনে কনটেসটেন্ট লাগে। ড. কামাল হোসেন বলেছেন নির্বাচন হয় কিনা সন্দেহ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা কামাল হোসেন গংরা নির্বাচন চান কি না? আপনারা চান অসাংবিধানিক সরকার আসুক। তাহলে আপনারা পতাকা পান, গুরুত্ব বাড়ে।ড. কামাল হোসেনের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী যখন ধমকের সুরে কথা বলেন তখন বুঝতে হবে প্লেন রেডি, শুটকেস ঘোছানো শুধু বাকি।
’৭৩ সালে ড. কামাল হোসেন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এমপি হয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে তিনি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এমপি হয়েছিলেন। তিনি আবার আমাদের সমালোচনা করেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন।
ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ভাল মানুষ। তার পরিবারের সাথে অনেক আগ থেকে সম্পর্ক। তারা বাবা এবং আমার বাবা ১৯৫৬ সালে একই ক্যাবিনেটে মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বিএনপি থেকে বিকল্পধারা তৈরী করেছেন। কিন্তু বিকল্পধারা এখন স্বতন্ত্রধারা হয়ে গেছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব সম্পর্কে তিনি বলেন, একটা কথা আছে রব সম্পর্কে আর তা হল- সুসময়ে সরব দু:সময়ে নিরব/ সে হল আ স ম রব। অনেক বড় নেতা ছিলেন। এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। আমাদের দল থেকে বের হয়ে আলাদা নির্বাচন করলেন। কিন্তু ফেল করলেন। জনগণ আপনাকে ভোট দিয়েছিল নৌকার জন্য। নৌকা নেই জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মান্না। যখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসলেন তখন বলেছিলাম, অনেক তো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখলেন এবার আওয়ামী লীগের পক্ষে লিখেন। কিন্তু এ কথা শুনে মান্না জুড়ে দেয় কান্না। তিনিও দল থেকে চলে গেলেন।
মিডিয়া বিএনপির ফেবারে
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার অসংখ্য বেসরকারি টেলিভিশনের পারমিশন দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন আগে ছিল না, আমিই দিয়েছি। অথচ সেই টেলিভিশন তাদের (বিএনপি) ফেবার করে, আমাকে রাখে চার-পাঁচ নম্বরে। তিনি বলেন, বিএনপি পার্লামেন্টে নেই, তারা বৈধ বিরোধী দলেও নেই। অথচ আমাদের মিডিয়ার কাছে এখন বিএনপিই বিরোধী দল, তারাই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আজ কিছু কিছু রিপোর্ট পড়ছিলাম। তাদের (বিএনপি) আমলে যে দুর্নীতি, ঘুষ নেওয়া, আন্তর্জাতিকভাবেও বহু কাহিনি রয়েছে। তবে, তাদের সৌভাগ্য যে মিডিয়া সব সময় তাদের ফেবার করে। আমি তো থাকি আপনাদের প্রত্যেকটা টেলিভিশনের হয় তিন নম্বর, নয়তো চার বা পাঁচ নম্বরে। এটা হলো বাস্তবতা।
মিয়ানমারের ছবি বানানো
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। তারা মুখে বলে, কিন্তু করে না। আবার করতে গেলে অনেক বাধা আসে। নেপালে মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দেশটিকে দেয়া বাংলাদেশের তালিকা অনুযায়ী ৩ হাজার লোককে ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছে মিয়ানমার।
এদিকে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের ছবি ব্যবহার করে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা নিয়ে বলতে চাই, আমাদের দেশেও এই ধরনের ছবি নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। এখন কথাটা হচ্ছে, শিখলো কার কাছ থেকে ওরা? আমাদের বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে এগুলো শিখলো কি-না তারা? বিভিন্নভাবে জামায়াত-বিএনপিও কিন্তু এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছিল। মিয়ানমার যেটা করেছে এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ করেছে। আন্তর্জাতিক ভাবে তারা হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাধারণত যখন এই ধরনের (বিমসটেক) একটা আঞ্চলিক গোষ্ঠী তৈরি হয়, তখন সেখানে এ ধরনের দ্বি-পাক্ষিক বিষয়গুলো সেখানে তুলে ধরা যায় না। এতে পরিবেশটা ভালো থাকে। হিমালয় থেকে বঙ্গপোসগারকে ঘিরে যে দেশগুলো সে দেশগুলোর সঙ্গে একটা সমঝোতা ও দেশগুলোর মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। সার্বিক বিবেচনায় বিমসটেকের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ১০০ বছরে কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে। ২০২১ সাল থেকে শুরু করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কী করবো, তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দিনবদলের সনদ চলছে। কাজ চলছে। তা অব্যাহত থাকবে। ২১০০ সালে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাই, বদ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এই প্ল্যান। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন হাতে নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কাজ চলছে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই। তবে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গ্রহণে কাজ করে যাচ্ছি। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া আসলে দেশের উন্নয়ন হবে না। সে লক্ষ্যে ২০১০ থেকে ২০, ২০২১ থেকে ৪১ সাল পর্যন্ত করণীয় অনেকদূর এগিয়েছে। পরবর্তী ২০৪১ থেকে ২১০০ পর্যন্ত কী হবে সেই পরিকল্পনাও দিয়ে যাচ্ছি। এ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। দেশ এগিয়ে যাবে। বদ্বীপকে রক্ষা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ হাতে নেওয়া হচ্ছে। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নই আমার ইচ্ছা। আর কিছু চাই না তো।
আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ওপর আমার আস্থা-বিশ্বাস আছে। আমার কোনও আকাক্সক্ষা নেই। জনগণ যদি উন্নতি চায়, কল্যাণ চায়, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও আমাকে জয়যুক্ত করবে। তবে আমি এটুকু মনে করি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারলে সুদিন আসবে না, আসবে দুর্দিন। এটা আমি নিশ্চিত। জনগণ আমাকে না চাইলে আমার কোনও দুঃখ নাই। ক্ষমতায় থেকে কাজ করেছি জনগণের জন্যে, জনগণ ভোট দিলে দেবে, না দিলে কিছু করার নাই, আফসোস নাই।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।