Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রশ্ন : আমি পরিবারের বড় ছেলে। বাবা আমাদের সাথে থাকেন না এবং পরিবারের ভরণপোষণও দেন না। আমার উপার্জিত টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এমতাবস্থায় বাবাকে কোনো প্রকার খরচ দিতে পারছি না।আমি কি কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হবো? পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে?

এইচ এম আরিফ
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:১৬ এএম

উত্তর : আপনি খুব কষ্ট করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। নিজের ও ভাইবোনের পড়ালেখার খরচও যোগান দিচ্ছেন। এটি খুবই নেকির কাজ। হাদিস শরীফে এমন ব্যক্তিকে বলা হয়েছে যে, সে আল্লাহর পথে আছে। যদি তার প্রয়োজন থাকে তাহলে যতদূর সম্ভব আপনার আব্বাকেও সামান্য কিছু দিতে পারলে খুবই ভালো হয়। সবার চাহিদা তো আপনার একার পক্ষে পুরোপুরি মেটানো সম্ভব নয়। সব যখন পারছেন তাহলে আব্বাকেও একটু স্মরণ করবেন। একান্তই যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত সদাচরণের দ্বারা তাকে সন্তুষ্ট রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এতে আপনার দুনিয়া ও আখেরাতে অফুরন্ত বরকত ও সওয়াব হবে। তবে আপনার আব্বা তার সংসার ও সন্তানদের প্রতি এমন কেন হলেন সেটিও একটি প্রশ্ন। তিনি কি অপারগ না উদাসীন? নাকি এখানে তার কোনো ত্রু টিও আছে। এসব বিষয় নিকটস্থ কোনো বড় আলেম ও বিজ্ঞ মুফতি সাহেবই বিচার বিশ্লেষণ করে মতামত দিতে পারবেন। আমি শুধু আপনাকে ভালোর চেয়ে ভালো সন্তান হওয়ার পথ বাতলে দিয়েছি। মাসয়ালার ক্ষেত্রে আপনার দায় আরো কমতে পারে। 

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশ্ন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ