Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার নেপাল যাচ্ছেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ১১:৫১ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সামিট অব দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের’ (বিমসটেক) চতুর্থ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) নেপাল যাচ্ছেন।
কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টি আঞ্চলিক দেশের নেতাদের নিয়ে এই সম্মেলন শুরু হবে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে একটি সেতুবন্ধ তৈরি করাই এ সম্মেলনের লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওন হবেন। নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিমানটির নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশরাফি বিনতে শামস বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
অভ্যর্থনা পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই অবস্থান করবেন।
সফরের প্রথম দিনই প্রধানমন্ত্রী নেপালের রাষ্ট্রপতির বাসভবন শিতল নিবাসে দেশের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে নেপালের রাষ্ট্রপতির দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেবেন। সন্ত্রাসবাদ মোকিবেলা, আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের বিষয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদের অলোচনার মূল বিষবস্তু। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপালের নেতারা সম্মেলনে তাদের তিন বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক অনুশীলন এবং একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য নেতারা স্থানীয় হায়াৎ রিজেন্সি হোটেলে তাদের সম্মানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শার্মা ওলী আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার অপরাহ্নে দেশে ফিরবেন।
এই উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্যদিয়ে গঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৫টি দক্ষিণ এশিয়ার। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা এবং অন্য দুটি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড।
প্রাথমিকভাবে চারটি দেশ নিয়ে জোট গঠিত হয়েছিল। যার সংক্ষিপ্ত নাম ছিল ‘বিআইএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)। ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি বিশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই জোটে মিয়ানমারের অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে এর নতুন নামকরণ হয় ‘বিআইএমএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা অ্যান্ড থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)। ষষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নেপাল ও ভুটান যোগ দেয়। তখন নাম হয় বিমসটেক। খবর বাসস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ