পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ খুশি থাকলে, তারা ভোট দিলে, আবারও ক্ষমতায় আসবো। ভোট না দিলে আফসোস নেই। দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি। জাতীয় নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের উন্নয়নের তথ্য প্রচার করারও আহবান জানান।
গত বুধবার সকালে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে অতিথিদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন।
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদ সবার জন্য আনন্দ ও খুশি বয়ে আনুক। আগস্ট মাস শোকের মাস। আমরা সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়েও জনগণের আনন্দ উৎসব যাতে থাকে তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঈদ যাতে নির্বিঘ্ন হয় তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করছে ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ঘটিয়েছি যাতে করে যারা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তারা যেন ভালভাবে নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছতে পারেন এবং পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে আবার সহি সালামতে ফেরত আসতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মহৎ কিছু অর্জনের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের সেই ত্যাগেরই শিক্ষা দেয়। ‘মহৎ কিছু অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন’ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সবসময়ই বঙ্গবন্ধুর এই দর্শনকে সঠিক বলে মনে করি।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে আমরা হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ থেকে কেবল আমরা দুই বোন বেঁচে গেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। কাজেই আমাদের জন্য আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনারা দোয়া করবেন।
এদিন ঈদের জামাত শেষ করেই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে একের পর এক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের আগমন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা এবং কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় গণভবনের বিশাল লনটি চমৎকার সাজে সজ্জিত করা হয়।
শুরুতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র মানুষসহ সাধারণ জনগণকে এদিন প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
অন্যান্য বছরের মতো শুভেচ্ছা জানানোর এই দিনটিতে রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ নির্বাহীর নিকট নিজের দুঃখ-কষ্ট তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে অনেকেই তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং সমস্যার সমাধানে তার হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
জনসাধারণের অভাব-অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য এদিন গণভবন চত্বরে একটি ডেস্কও খোলা হয়। অভাব-অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বন্ধুভাবাপন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণও এদিন পৃথক অনুষ্ঠানে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।