পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৪ বছর আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচিতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় যে ‘জিয়া পরিবার জড়িত ছিল’, সে বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।
‘হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান’ হওয়া বিএনপি কখনো দেশের কল্যাণ করতে পারে না বলেও দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে বিএনপি-জামাত জোট ওই গ্রেনেড হামলা চালায়।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের যে জায়গায় সেদিন ওই হামলা হয়েছিল, সেখানে মঙ্গলবার সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের যে চেষ্টা; এর সাথে বিএনপি যে একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, খালেদা জিয়া, তার ছেলেরা যে জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নাই।”
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ অগাস্ট বিকালে আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সন্ত্রাস বিরোধী শোভাযাত্রার কর্মসূচি ছিল। শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরপরই তা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসী গ্রেনেড হামলায় স্তব্ধ হয়ে যায় সন্ত্রাসবিরোধী সেই কর্মসূচি।
সেদিন বেঁচে গেলেও স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমান বসে ছিলেন ট্রাকে তৈরি মঞ্চের পাশে কর্মীদের সঙ্গে। প্রাণ হারান তিনিসহ ২৪ জন। যারা আহত হন, তাদের অনেকে চিরতরে পঙ্গু হন, ঘটে অঙ্গহানি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে চালানো ওই হামলার লক্ষ্য যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাই ছিলেন, তা পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।
সে সময় এই ঘটনার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয় বলে পরে উন্মোচিত হয়, আসামি হিসেবে এখন বিচারের সম্মুখীন ওই সময়ের তদন্ত কর্মকর্তারাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।