পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২৫মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন দেশের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ দ্রæতগতিতে চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় উপ আঞ্চলিক যোগাযোগ তৈরি করা হচ্ছে। এ উন্নয়নের ছোয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে যতগুলো কাজ হচ্ছে (সড়ক-মহাসড়ক) তার পাশে আলাদা লেন করা হচ্ছে। সেগুলোতে স্থানীয় যানবাহন চলবে। যাতে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের যোগাযোগ করা যায়। যোগাযোগ যাতে আরও উন্নত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যমুনা-বঙ্গবন্ধু সেতু করার সময় আমরা পাশে রিকশা-ভ্যান বা ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য লেন করেছিলাম। এসব রাস্তা করতে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনীর ৩৪ ও ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশান ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে এবং কম খরচে এসব কাজ করেছে। এছাড়াও তিনি ফেনী ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস সহ দেশের আরো ২৩টি সেতু উদ্বোধন করেন।
এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমা, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন চিফ মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেবময় দেওয়ান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিকেএম এনামুল করিম, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার সোহেল, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জেডএম কামরুল আনাম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান কবির আহমদসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট ঠেকাতে ১৫ মে ও ২০ মে ফতেহপুর ওভারপাসের রাজধানী ঢাকামুখি দুটি লেখ খুলে দেয় নির্মাণ কাজে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী। ফলে ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষ যানজটের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পায়। একইভাবে ঈদুল আযহার আগে পুরো ওভারপাস খুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে সেনাবাহিনী।
এদিকে ফতেহপুর ওভারপাস খুলে দেয়ায় খুশি চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। একাধিক যাত্রী ও চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুর ওভারপাসের কারণে দীর্ঘ প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর তীব্র যানজটের শিকার হয়েছে যাত্রীরা। এটি চালুর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তী থেকে রক্ষা পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।