পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমী শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাষ্টার্সের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা দিয়ে মন্ত্রীসভায় আইন অনুমোদন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীসভা, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ।
হেফাজতে ইসলাম : হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফী বলেন, কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাষ্টার্সের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা দেয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ষ্টাডিজ ও আরবি সাহিত্য এ দুই বিষয়ের মাষ্টার্সের মর্যাদা পাবে দাওরায়ে হাদিস। ফলে কওমী শিক্ষার্থীদের খেদমতের পরিধি বৃদ্ধি পেলো। এতে দেশ ও জনগণ এর সুফল দেখতে পাবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : দলের আমীর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, এ দাবী আদায়ে উপমহাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. পাঁচ দিন মুক্তাঙ্গনে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে ছিলেন। দেরি করে হলেও বর্তমান সরকার দাওরায়ে হাদিসের মান দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন করায় শায়খুল হাদীসের কর্মসূচীর দাবী বাস্তবায়ন হলো। মান দেয়ার বিষয়টি জাতীয় সংসদে পাশ হলে জাতী নানাভাবে উপকৃত হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : দলের সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ও মহাসচিব মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, কওমী সনদের মান দেয়ায় এ অঙ্গনের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে দেশ ও জাতির সেবায় অবদান রাখার সুযোগ পাবে।
কওমী মাদরাসা শিক্ষক কল্যাণ সোসাইটি : সোসাইটির চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, বহু প্রত্যাশিত কওমী সনদের এ মান অনুমোদন হওয়ায় কওমী ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হলো।
ইসলামী ছাত্র মজলিস : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম রহমত আলী ও সেক্রেটারী জেনারেল সাইদুর রহমান সানী বলেন, কওমী মান অনুমোদন হওয়ায় কওমী ছাত্ররা দেশ ও জাতী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ পেলো।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর সভাপতি তোফায়েল গাজালি কওমী সনদের সরকারি স্বীকৃতি মন্ত্রী পরিষদে অনুমদ হওয়ায় প্রধান মন্ত্রীকে অভিন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ স্বীকৃতির মাধ্যমে কওমী শিক্ষাকর্থীরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
যুব জমিয়ত বাংলাদেশ : দলের সভাপতি মুফতি রেজওয়ানুল বারী সিরাজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হালিম বিন হারুন বলেন, স্বীকৃতির মান দেয়ায় সনদের জন্য কওমী ছাত্র-ছাত্রী অন্য শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে ঝুগবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।