পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিসিএস ও ব্যাংক ছাড়া সরকারি বেসরকারি নানা চাকরির নিয়োগে ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির মূলহোতাসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই চক্রের মধ্যে শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও বিসিএস এ সুপারিশপ্রাপ্তরা রয়েছেন। চক্রটি গত কয়েক বছরে জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে শতাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগও দিয়েছে। আর এভাবেই হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান। আটককৃতরা ৯ জন হলোÑ চক্রের মাস্টারমাইন্ড বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, ৩৬তম বিসিএসে নন ক্যাডার পদে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহিম ও ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণ আইয়ূব আলী বাঁধন, রাজধানীর অগ্রণী স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক গোলাম মোহাম্মদ বাবুল, পিওন আনোয়ার হোসেন মজুমদার, নুরুল ইসলাম, ধানমÐি গভ. বয়েজ স্কুলের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হোসনে আরা বেগম ও পিওন হাসমত আলী শিকদার। গত পাঁচ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
নজরুল ইসলাম জানান, অলিপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির মূলহোতা। কয়েক বছরে সে জালিয়াতির মাধ্যমে তিন কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। আর ইব্রাহিম, মোস্তফা ও বাঁধন বিসিএসসহ সকল নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির মূলহোতা। এরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেই নয়; মেডিকেল, ব্যাংকসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করত। এ ছাড়া বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষাতেও প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। এই ৪ জনের প্রায় ১০ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও সম্পদের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি।
চক্রের সদস্যরা কেউ কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ, কেউ প্রশ্ন ফাঁস, কেউ পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পৌছানো, কেউ চাকরী প্রার্থী ও পরীক্ষাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাসহ বিভিন্ন ধাপের কাজ করতো। জিজ্ঞাসাবাদে অলিপ, ইব্রাহিম, বাঁধন ও মোস্তফা জানায়, কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁসের পর আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাবির এফ রহমান হলের দু’টি কক্ষে বসে অভিজ্ঞদের দিয়ে সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তারা পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করত। এই চারজন মূলত ডিজিটাল ডিভাইস চক্রে জড়িত। আর বাকি পাঁচজন (শিক্ষক ও পিয়ন) পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করত। গত বুধবার গ্রেফতারের সময় পিয়ন হাসমতের কাছে ৩৯তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার কয়েক কপি প্রশ্নপত্র এবং ৬০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। চক্রটি গত কয়েক বছরে জালিয়াতির মাধ্যমে অনেককে চাকরি পেতে সহায়তা করেছে। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, সিআইডির লক্ষ্য ছিল চক্রটির মূলোৎপাটন করা। সর্বশেষ অভিযানে ৯ জনকে আটকের মধ্য দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলোৎপাটন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রশ্ন জালিয়াতি চক্রের ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।