পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য রফতানি খাতে ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেবা রফতানি খাতে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর পণ্য ও সেবা খাতের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্জিত হয়েছে ৪০ দশমিক ৯৪৯ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
গত বছর পণ্য খাতে রফতানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৩৬ ভাগ এবং সেবা খাতে ৭ দশমিক ৪৩ ভাগ, মোট রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৭ ভাগ।
এদিকে, সরকার বর্তমানে ২৭টি পণ্য রফতানি খাতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে, এবার আরো নয়টি পণ্য রফতানিতে দশ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পণ্যগুলো হলো-হিমায়িত সফটসেল কাঁকড়া, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য ও ওষুধের কাঁচামাল, সিরামিক দ্রব্য, গালভানাইজড সিট বা কয়েলস, ফটোভলটাইক মডুল, রেজার ও রেজার ব্রেডস, ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড।
এরফলে আগামীতে দেশের রফতানিকারকরা পণ্য রফতানিতে আরো বেশি উৎসাহিত হবেন বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রফতানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে দেশের মোট রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-২০১৯ অর্থরছরের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের রফতানির সিংহ ভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। গত অর্থ বছর ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, রফতানি হয়েছে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এবছর তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এ রফতানির পরিমান দাঁড়াবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রপ্তানিতে আগে তিন শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হতো, এখন আরো একভাগ বাড়িয়ে চার শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামীতে তৈরি পোশাক রফতানিতে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে।
সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ রফতানি বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোর উন্নয়ন, ব্যবসায়ীক জটিলতা নিরসন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং স্থল ও সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার দাবী করলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সরকার পর্যাপ্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, এগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
চলমান কাজগুলো শেষ হলে রফতানি বাণিজ্য সহজ হবে। দেশের রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহজ করতে নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক রফতানি বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশ বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।