প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : বোঝা যায়, আপনাদের সবাই এখনো একসাথেই আছেন। ভাইদের কেউই উপার্জনশীল নন। আম্মার সামান্য আয়ে সংসার চলে বলে মনে হয়। সাথে দোকান ভাড়াও আছে। যদি জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ এক জাকাতবর্ষ আপনাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত; তাহলে সবারই জাকাত ফরজ হতো। আর যদি এ পরিমাণ সম্পদ ঈদুল আজহার দিনে কারো হাতে থাকে তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। বসতবাড়ি, পতিত জমি ও ভাড়া দেয়া দোকান জাকাতের আওতায় পড়ে না। তবে নগদ টাকা, ব্যবসা পণ্য, স্বর্ণ-রূপা, (ফিতরা ও কোরবানির ক্ষেত্রে আসবাবপত্র) সব মিলিয়ে যদি কারো হাতে নেসাব পরিমাণ (সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য কিংবা সমমূল্যের টাকা পয়সা) থাকে তাহলে সে কোরবানি দিবে। জাকাতবর্ষ পার হলে জাকাত দিবে। এখন আলাদা আলাদা করে আপনাদের তিনজনের আর্থিক অবস্থা নিজেরাই বিবেচনা করে দেখুন, আপনাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব কি না। কেননা, মানুষের ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা কেবল সে নিজেই জানে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।