পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার সড়কে নেমেছে পরিবহন শ্রমিক ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘটের মধ্যে রোববার ঢাকার মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে কয়েকশ পরিবহন শ্রমিক অবস্থান নেয়। সনি সিনেমা হলের সামনে তাদের সঙ্গে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগেরও কয়েকশ নেতা-কর্মী।
বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে সকাল ১০টার দিকে সনি প্রেক্ষাগৃহের সামনে জড়ো হন।
যেখানে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ছিল, সেখানে অবস্থান নেওয়ার কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে তা প্রতিরোধে তাদের এই কর্মসূচি।
এদিকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অল্প কিছু স্থানে শিক্ষার্থীদের সড়কে নামার খবর পাওয়া গেছে। আসাদ গেইট, উত্তরায় শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছে। আগের দিন উত্তপ্ত থাকা জিগাতলা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় রোববার সকালে পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সেখানে তৎপর ছিল পুলিশ ও স্কাউটসরা। সেখানে ওভারব্রিজের নিচে রাস্তা পার হতে গেলে স্কাউট সদস্যরা বাধা দিয়ে সবাইকে বলছেন, জীবনের নিরাপত্তার জন্য ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করুন।
সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট মাহবুব আলম বলেন, “সাধারণ মানুষ এখন নিজ উদ্যোগে পুলিশের কাছে সহযোগিতার জন্য আসছেন। গাড়ির কাগজপত্র দেখাচ্ছেন, আর প্রয়োজনীয় পরামর্শও নিচ্ছেন।”
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই কলেজ শিক্ষার্থী বাসচাপায় মারা গেলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরদিন থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে অচল হয়ে পড়ে রাজধানীর সড়ক।
শিক্ষার্থীরা গাড়ির ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে থাকে, তা না পেলে গাড়ি আটকে দিচ্ছিল। আন্দোলনের মধ্য থেকে ওঠা নয়টি দাবি পূরণের ঘোষণা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানায় সরকার।
তারপরও সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের মধ্যে শনিবার কয়েকটি স্থানে তাদের উপর হামলা হয়, যা সরকার সমর্থক সংগঠনগুলো ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টায় শুক্রবার থেকে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
রোববারও ঢাকার সড়কে সরকারি সংস্থা বিআরটিসির বাস ছাড়া অন্য কোনো বাস চলছে না বলে দুর্ভোগ কাটেনি রাজধানীবাসীর। বাস না পেয়ে অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্য পৌঁছাতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই হেঁটে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী বাবুল বলেন, “সড়কে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নাই। কোথাও নিরাপত্তা দিতে পারছে না, তাই আমরা বাস চালাতে পারছি না।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।