পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তৃতীয় পক্ষ মাঠে নেমেছে যে কোনো ধরনের অঘটন ঘটতে পারে। তাই রাস্তায় থাকা শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে রোববার (৫ আগস্ট) ১০ জেলায় ফাইবার অপটিক কানেকটিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। যে কোনো মুহূর্তে কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে। কোনো অঘটন ঘটে গেলে তার দায় কে নেবে? অভিভাবকদের অনুরোধ আপনারা আপনাদের সন্তানদের ঘরে ফিরিয়ে নিন। তাদের লেখাপড়া মনোযোগী করে তুলুন। তাদের রাস্তায় আর থাকার দরকার নেই। ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে। শিক্ষার্থী লেখাপড়া শিখুক, পড়াশোনা করুক।’
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অামরা তাদের মনোবেদনা বুঝি। তারা সহপাঠী হারিয়েছে। অন্তত আমার থেকে এই বেদনা কেউ বোঝে না। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে লাইসেন্স দেখছে, যা ইচ্ছা তাই করেছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসীম ধৈর্য ধরেছে। তারাও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ গুজবে কান দিবেন না। যা শুনবেন, দেখবেন অন্তত যাচাই করুন। বিশেষ করে ছাত্র, যুব সমাজ ও অভিভাবদের প্রতি আমার এই আহ্বান রইল।’
তিনি বলেন, ‘দেশ আজকে ডিজিটাল। প্রযুক্তির সুবিধা যেমন আছে, অসুবিধাও আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহার করুন উন্নয়নের জন্য। ভালো কাজে এগুলোর ব্যবহার করুন। কোনো ধ্বংসাত্মক কিংবা খারাপ কাজে এগুলোর ব্যবহার যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
‘প্রযুক্তির কারণে অপপ্রচারসহ নানা ধরনের ঝামেলা আমাদের পোহাতে হচ্ছে। তাই আমরা বলবো, গুজবে কান দেবেন না। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বলবো, কোন অপব্যবহার বা নোংরা ভাষার ব্যবহার যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারে ব্যবহার যেন না করা হয়। তারা এই মাধ্যমগুলো ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারে।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশের হুন্ডায় আগুন দেওয়া হয়েছে, বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গাউছিয়া মার্কেটে ইউনিফর্ম বিক্রি বেড়ে গেছে, পলাশীতে আইডি কার্ড বানানো হচ্ছে। তৃতীয় পক্ষ এই আন্দোলনে ঢুকে গেছে। আমি শিক্ষার্থীদের নিয়ে শংকিত।’
‘একটি শ্রেণী আছে তাদের কাজ হচ্ছে রিউমার তৈরি করা। আমাদের অফিসে হামলায় ১৭ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের ব্যাগের ভেতর পাথর। তারা ছাত্র হলে ব্যাগের ভেতর পাথর কেন ‘
‘অনেকে বলেছে অফিসের ভেতর লাশ আছে, মেয়েদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ২০-২৫ জন গিয়ে অফিসে দেখেছে, ভেতরে কিছু পাই নাই। হামলার সময় গুলি করা হয়েছে, এসব কারা করেছে?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।