পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন বলেই তিনি আত্মস্বীকৃত খুনীদের পুরস্কৃত করেছেন। তবে জিয়াউর রহমানের যে পরিণতি হয়েছিল তা অবধারিত। কিন্তু আমার দুঃখ একটাই, তার (জিয়াউর রহমান) বিচারটা আমি করতে পারলাম না। তার আগেই সে মারা গেল।
গতকাল বিকেলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধুর বাসভবন স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্নে শোকাবহ ১৫ আগষ্টের মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা দিনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার এই গতি যেন থেমে না যায়। দেশের অগ্রগতির এই ধারা ধরে রেখেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
আবেগজড়িত কন্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী অপরাধ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর? অপরাধ তো একটাই ছিল যে, তিনি বাঙালি জাতির মুক্তি এনে দিয়েছিলেন, দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, বাঙালি জাতিকে স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের এদেশীয় দোসর কুলাঙ্গাররা পরাজয় মেনে নিতে পারেনি। তাই একাত্তরের গণহত্যাকারী রাজাকার-আলবদর-আলশামসরা, ঘটনাচক্রে মুক্তিযুদ্ধে গেলেও যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতো না- তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল। তারা মনে করেছিল, জাতির পিতাকে হত্যা করলে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না, এ দেশ পাকিস্তানের হাতে আবার চলে যাবে- এই উদ্দেশ্যে নিয়েই বিশ্বাসঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫আগস্টের হত্যাকান্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান খুনীদের বিচার না করে উল্টো বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন। এসব কাজ কেন করেছে? কারণ জিয়াউর রহমান এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে সম্পূর্ণ জড়িত ছিল বলেই খুনীদের পুরস্কৃত করেছিলো।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পরবর্তী পরিস্থিতির বর্ণনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে থাকায় শেখ রেহানাসহ আমি প্রাণে বেঁচে যাই। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান আমাদের দীর্ঘদিন দেশে আসতে দেননি। আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোনিত করার পর জোর করে দেশে ফিরলেও ওই জিয়া আমাকে ৩২ নম্বরের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি। আমরা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বাড়ির বাইরের রাস্তায় বসে বাবা-মা, ভাইসহ নিহত স্বজনদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেছি। ওই সময় আমাকে অন্য একটি বাড়ি দিতে চেয়েছিল। আমি স্পষ্ট করে বলেছি, খুনীদের কাছ থেকে আমি কিছু নেবো না।
শেখ হাসিনা বলেন, যেসব খুনী এখনও পলাতক রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিদেশে পলাতক দুই খুনীকে ধরে এনে রায় কার্যকর আমরা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই রক্ত ঋণ আমাদের অবশ্যই শোধ করতে হবে। তভর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার মাধ্যমেই আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করে যেতে চাই।
সংগঠনটির সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।