পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটে বড় লজ্জায় পড়েছে জামায়াত-শিবির । ভোটের বাজারে দাম থাকল না তাদের। সেই দাম দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছিল তারা। কিন্ত শেষ ফলাফলে তাদের অবস্থা যেন ‘অশ্ব ডিম্ব‘। এখন চরম হতাশায় দলের নেতাকর্মীরা।
সিলেট সিটি করপোরেশ নিয়ে নিজেদের প্রার্থীতা প্রশ্নে অনড় হয়ে উঠে জামায়াত শিবির সিলেটে। ২০ দলীয় বৈঠকে জোটের শরিক প্রধান বিএনপির দলের স্থানীয় নেতাদের একপ্রকার তুলোধুনা করে তারা। কোন রকম ছাড় দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। নিজের শক্তি সামর্থ সব কিছু তুলে ধরে মেয়র পদে প্রার্থী কেড়ে নিতে চায় জামায়াত। কিন্তু তাদের সেই আবদারে রাজি হয়নি বিএনপি। নানাভাবে জামায়াতকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। দলের হাইকমান্ড সহ সবোর্চ্চ পর্যায় থেকে ফোন করেও জামায়াত প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু কোন সৌজন্যতা দেখায়নি জামায়াত। বরং বিএনপিকে শিক্ষা দেওয়া ঘোষনা দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নেমে পড়ে । একই সাথে বিএনপিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য, বিবৃতি দেয়। তাদের টার্গেট ছিল মুলত বিএনপিকে দুর্বল করে নিজদের অবস্থান জাহির করা। তাদের এই জেদি মনোভাব বহি:প্রকাশ ঘটায় নানাভাবে। তারা ২০ দলীয় জোটের শরিক ছোট দলগুলো নেতাদের নিয়ে টানা হেচড়া করে। ইসলামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে থাকে অবিরত।
২৮ জুলাই সর্বশেষ নির্বাচনী সমাবেশ করে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে। সেই কোর্ট পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটায়। গোটা নির্বাচনী কর্মকান্ডে তারা ছিল বেপরোয়া। সরকার দলের নিরব সমর্থন কৌশলগত তাদের পক্ষে যে ছিল তাও স্পষ্ট হয়ে উঠে সচেতন মানুষের নিকট। অথচ ৪টি মামলা সহ হয়রানিতে তটস্থ ছিল বিএনপি। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। নানা অস্থিরতা সহ চাপের মুখে নির্বাচনে লড়তে হয় বিএনপিকে। তারা স্বপ্ন দেখতে থাকে নির্বাচনে বিজয়ের। নানা সমীকরনে তাদের প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিজয়ী হবেন এমন অংক কষে তারা। নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টিতে জামায়াত নেতা জুবায়ের ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৫৪টি। মোট ভোটের মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ভোটের পরিসংখ্যানে বিজয়ের আস্ফালন চূর্ণ হয়ে গেছে। সেই সাথে ধুলোয় লুটেছে দম্ভ আর বড়াই। নির্বাচনের পূর্বে তারা বলছিল, সিলেটে জামায়াত মেয়র পদে বিজয়ী হবে। এমনকি খোদ জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের তাকে সমর্থন দিতে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে আহবান জানিয়ে বসেন । নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াত দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছিল, সিলেট তাদের ‘ঘাঁটি’। কিন্তু সিটি নির্বাচন ফলাফলের মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেল, সিলেটে ভোট রাজনীতিতে তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই এবং সচেতন ভোটার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।