পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংশ্লিষ্টজনদের গাফিলতি, আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়া, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসনের অভাব, উচ্চপর্যায়ের সিন্ডিকেটসহ নানাবিধ জটিলতা ও অনিয়মের বেড়াজালে বন্দী সড়ক পরিবহন খাত। এ লক্ষ্যে অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে এ খাতে দীর্ঘকাল যাবৎ বিদ্যমান স্বার্থের দ্ব›েদ্বর অবসানের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, পরিবহন মালিক ও শৃমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করারও দাবি জানায় সংস্থাটি। রাজধানীসহ সারাদেশে ধারাবাহিক সড়ক দুর্ঘটনায় নাগরিকদের জীবন ও সম্পদহানির প্রেক্ষিতে এই দাবি জানায় টিআইবি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানান টিআইবি।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্টজনদের চূড়ান্ত গাফিলতি, আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়া, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসনের অভাব, উচ্চপর্যায়ের সিন্ডিকেটসহ নানাবিধ জটিলতা ও অনিয়মের বেড়াজালে বন্দী সড়ক পরিবহন খাত। একদিকে পরিবহন মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্ব ও অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল অবস্থানের একাকার হওয়ার ফলে সৃষ্ট স্বার্থের দ্ব›েদ্বর হাতে জিম্মি পরিবহন খাত। আর এই সুযোগে মুনাফালোভী একশ্রেণির মালিকপক্ষ অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহন পরিচালনার মাধ্যমে পরিবহন খাতে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এতে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বললেও কার্যত গত ১০ বছরেও মোটরযান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিআরটিএ কার্যকর কোন ভূমিকা পালন করেনি। বিআরটিএসহ গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহ ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটিসহ সারাদেশে বিভিন্ন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের দৌরাত্মের কাছে জিম্মি। পাশাপাশি যখন রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে আসীন ব্যক্তিবিশেষ এধরণের সংগঠনসমূহ ও তার সদস্যদের অপরাধ ধামাচাপা দিতে তৎপর হন তখন পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। অন্যদিকে সুশাসনের ঘাটতি এবং মাঠ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের অভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাতেও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ। তিনি আরো বলেন সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে এবং নাগরিকদের নিরাপদে চলাচলের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংগঠনকে অন্যায় পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধ এবং অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে যান চালানোর সুযোগ বন্ধ করতে হবে। অবৈধ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলায় আনতে কঠোর সরকারি নজরদারি এবং ধারাবাহিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।