Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা বিএনপি’র দুর্নীতি ও দুঃশাসনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থের রাজনীতি দেশ ও জনগনকে কিছু দিতে পারেনা। যারা অতীতে লুটপাট করেছে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে আবারও তারা লুটেপুটেই খাবে এবং শুধু নিজেদের ভাগ্য গড়বে।
বিএনপি- জামায়াতের দুঃশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে যে রাজনীতি, সে রাজনীতি কখনও জনগণ ও দেশকে কিছু দিতে পারে না। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। তাই বিএনপি’র প্রতি জনগনের কোনো আস্থা নেই। তাদের ঘরনার দুই বুদ্ধিজীবি শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান সজিব ওয়াজেদ জয়ের হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত এর প্রমান এফবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে।
গতকাল গণভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় খালেদা জিয়ার কারাগারে যাবার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ১০ বছরেরও বেশী সময় আদালতে মামলা চললো, বিএনপি’র এত বাঘা বাঘা আইনজীবীরা প্রমাণে ব্যর্থ হলো যে, খালেদা জিয়া অর্থ আত্মস্যাৎ করেনি। আদালত তাকে জেল দিয়েছে। কাজেই আমাদের কাছে এখন মুক্তির দাবি করে লাভ কি, আমরা কিছুই করতে পারবো না।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ তাকে জেল দেয় নাই। সে রকম হলেতো ২০১৩,১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি’র সন্ত্রাস ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার কারনে তাকে গ্রেফতার করা যেত।
তিনি এ সময় প্রশ্ন করে বলেন, ‘যারা এতিমের অর্থের লোভ সামলাতে পারে না তারা কীভাবে দেশ চালাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা প্রমাণিত যে, বিএনপি’র ওপর জনগণের কোন আস্থা ও বিশ্বাস নেই। কারণ তাদের শাসনামলে অর্থাৎ ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চলছিল।
এ প্রসঙ্গে তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে ২০০১ -২০০৬ মেয়াদে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, বাড়ি ঘর লুটপাট এবং ২০১৩ সালে সন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও এবং নির্বাচন প্রতিহত করার নামে প্রিসাইডিং ও সকারী প্রিসাইডিং অফিসার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়ে সেই আগুনে ফেলে বিদ্যুতের ইঞ্জিনিয়ার হত্যা এবং ২৭ জন আইন-শ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে হত্যার অভিযোগ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলেও কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে কলেজ ছাত্রী কেউ রক্ষা পায়নি। তাই বিএনপি-জামায়াতের ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই তা আজ প্রমাণিত। গ্রামের মানুষও শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে। এ সময় নৌকায় ভোট চাওয়ার নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকা গুরুত্বপুর্ণ উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী করে বলেন, ২০০১ সালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে না পারায় তাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো এমনকি দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি পর্যন্ত পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশ আবারো পিছিয়ে যায়।
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ধানমন্ডির একটি বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে সপরিবারে বন্দি থাকার সময় জয় জন্মগ্রহণ করেন উল্লেখ করে সে দিনের কথা অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২৭ জুলাই দিনটি আমার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে যখন বন্দি ছিলাম তখনই আমার প্রথম সন্তান জয় জন্মগ্রহণ করে। আজকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সঙ্গে জয়ের জন্মদিন এক হয়ে গেছে। এজন্য আমার দোয়া ও আশির্বাদ সকলের জন্য।
এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি এবং শ্লোগানের মাধ্যমে জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। পরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



 

Show all comments
  • Emdadul Haque ২৮ জুলাই, ২০১৮, ৩:২০ এএম says : 1
    you are right
    Total Reply(0) Reply
  • Tajul Islam ২৮ জুলাই, ২০১৮, ৩:২০ এএম says : 0
    ata sokoler jonno e projojjo
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ