পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী বাড্ডার ইউলুপ খুলছে আজ। বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউলুপটি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরপরই এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে ইউলুপটি চালু করার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য এটি রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে।
হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থের বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)।
বাড্ডায় ইউলুপ নির্মাণ কাজের জন্য এই রুটে চলাচলকারীদের প্রতিদিনই পড়তে হয়েছে দীর্ঘ যানজটে। এটি চালু হলে যানবাহনগুলো প্রগতি সরণি হয়ে ইউলুপ দিয়ে বাঁক নিয়ে বনশ্রী, আফতাবনগর, রামপুরা বা মালিবাগ অভিমুখে সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। এতে করে বাড্ডা পয়েন্টে আর যানজট হবে না বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জুনে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। পরবর্তিতে সময় বাড়িয়ে তা ২০১৭ সালের জুন মাস নির্ধারণ করা হয়। এরপর জুন পেরিয়ে ওই বছরের ডিসেম্বর এবং তারপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইউলুপটি খুলে দেয়ার কথা ছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের প্রথম দিকে এটি খুলে দেয়া হবে।
বাড্ডা ইউলুপটির অবস্থান রামপুরা-নতুনবাজার সড়কের মেরুল এলাকায়। ঢাকার যানজটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এটি। একই প্রকল্পের আওতায় রামপুরা ইউলুপ চালু হয় গত বছরের ২৫ জুন। চালুর পর থেকেই এর সুফল পেতে শুরু করে রাজধানীবাসী। ইউলুপের সুবাদে রামপুরা এলাকার যানজট অনেকটাই কমে গেছে। রামপুরার মতো বাড্ডা ইউলুপটিও এ এলাকার যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। হাতিরঝিল থেকে বের হয়ে ইউলুপটি ব্যবহার করে সহজেই রামপুরা-বনশ্রী-মালিবাগের দিকে যাওয়া যাবে। একইভাবে এসব এলাকা থেকে যেকোনো যানবাহন নির্বিঘে হাতিরঝিল দিয়ে কাওরান বাজার বা মগবাজারের দিকে যেতে পারবে।
বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে প্রতিদিনের সৃষ্টি হওয়া যানজটে এ পথে চলাচলকারীদের তিন বছরের বেশি সময় ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সেই দুর্ভোগের অবসান হতে চলেছে জেনে অনেকেই খুশি। বিশেষ করে ইউলুপ সংলগ্ন মধ্যবাড্ডা ও মেরুল বাড্ডা এলাকার ব্যবসায়ীরা যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। ইউলুপের কাজ শেষ হতে না হতেই তাদের ব্যবসা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আলমগীর নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এতোদিন দীর্ঘসূত্রিতার নির্মাণ কাজের জন্য আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন ইউলুপের সাথে নতুন করে নিচের রাস্তা হওয়ায় পুরো এলাকার চেহারা পাল্টে গেছে। তাতে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।