Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রভাবমুক্ত মাঠ প্রশাসন চান জেলা প্রশাসকরা

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:১৪ এএম, ২৫ জুলাই, ২০১৮

জাতীয় নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে নানামুখি সমস্যা দেখা দিতে পারে সে জন্য ফৌজদারী কার্যবিধি (সংশোধন) আইন ২০০৯ এর ৮৩ (ক) ধারা বর্তমানে ৪৩৫ ধারা নথি তলবের ক্ষমতাসহ অন্তত সাতটি ধারার ক্ষমতা ফিরে চায় জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)। প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করার পর সংক্ষিপ্ত বিচারসহ ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) অন্তত সাতটি ধারার ক্ষমতা ফিরে পেতে চায় ডিসিরা। অন্যান্য বাহিনীর মতো প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারাও বিদেশে শান্তি মিশনে যেতে চান। সরকারের উন্নয়ন মুলক কার্যত্রক্রম বাস্তবায়নে তৃণমুলে স্থানীয় সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী নেতাদের চাপের মুখে পড়তে হয়। ডিসি বা ইউএনওদের মুল্যায়ন করেন না। তাদের প্রভাবের কারণে অনেক সময় সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার করা যায় না। যে কারণে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাহত হয়।
এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের লক্ষ্য পূরণও দুরহ হয়ে পড়ে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মাঠ প্রশাসনের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য ডিসিরা মাঠ প্রশাসনকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত থেকে প্রভাবমুক্ত থাকতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন ডিসিরা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসিদের প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিন দিনব্যাপি জেলা প্রশাসক সম্মলনে উদ্ধোধন শেষে মুক্ত আলোচনায় এসব নির্দেশনা দেন। একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব আপনাদের, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের মধ্যে অনেক উদ্ভাবনী শক্তি আছে। আপনারা এই উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখাসহ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকদের ২৩ দফা নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৬৪ (সংশোধিত) এর যথাযথ প্রয়োগ নেই। মার্কেটিং লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামুলক হলেও কার্যকর নেই। এ কারণে আধুনিক বিপনন সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। বন্যায় প্রতি বছর জেলায় আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আপদকালে প্রতিটি উপজেলায় আমন ধানের চারার বাফার তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা অবসর সুবিধাসহ বিভিন্ন কাজে সচিবালয়ে আসেন। তাদের জন্য নির্ধারিত বসার জায়গা না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। এজন্য সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য লাউঞ্জ স্থাপনের দাবি করে।
একাধিক জেলা প্রশাসক বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন গুরু^পূর্ণ দফাদার ও মহলদারদেরদিয়ে পরিচালিত হয়। একজন দফাদার প্রতিমাসে ৩ হাজার চারশ’ টাকা হারে এবং মহলদার প্রতিমাসে ৩হাজার টাকা করে বেতন পান। সামান্য বেতন দিয়ে তারা তাদের পরিবারেরব্যয় নির্বাহ করতে পারে না। তাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করেন তারা।
তারা আরো বলেন, সচিবালয়সহ অন্য অফিসে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা চাকরি জীবনে শেষ পর্যায়ে নবম গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। মাঠপর্যায়ের কর্মরত কর্মচারীরা পদোন্নতি না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করে। সচিবালয়ের মতো তাদেরকে পদোন্নতির দেওয়া হলে নিচেজদের মধ্যে কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়বে। দাফতরিক কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো; আখতারুজ্জামান বলেন, জনপ্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে মূল্যায়িত হন না। এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার (গোয়েন্দা) প্রতিবেদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে প্রশাসনের গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) বিবেচনা করা দরকার। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্ত করছি। যাতে করে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি না হয়।
একাধিক জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি স্থার্থ রক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অনেক সময় আদালত অবমাননা মামলার উদ্ভব হয়। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থিত হতে হয়। সরকারি স্থার্থ রক্ষা করতে গিয়ে কর্মকর্তারা হয়রানির শিকার এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।। আদালত অবমাননা মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি এবং মামলাটি সরকারি কৌশলী দিয়ে পরিচালনার করা যেতে পারে। তারা আরো বলেন, সিআরপিসি এবং অ্যাক্ট অনুযায়ী এফিডেভিট-সংক্রান্ত কাজ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে হয়। হলফনামা বা শপথ বা ঘোষণাপত্র সম্পাদন করার বিষয়ে সুনিষ্ট্র নির্দেশনা থাকার প্রয়োজন। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের দেশে ছোট ছোট জমি চাষ করার চেয়ে কীভাবে জমি বড় করে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদ করা যায়, তা দেখতে হবে। এ ছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এটা হলে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য যেমন বিদেশে বাজার পাবে, তেমনি দেশেও বিক্রি করা যাবে।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, জরুরী প্রয়োজনে বা চিকিৎসার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি নিতে হয়। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেতে অনেক সময় লেগে যায়। ছুটির বিষয়টি বিকেন্দ্রীকরণের জন্য তিনি বিভাগীয় কমিশনারদের ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর শুন্য দশমিক ৭১ শতাংশ কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। কৃষি জমি কমে ১০-১৫ বছরের মধ্যে কৃষি উৎপাদনে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তাই কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়া রোধ করতে আইন করার প্রয়োজন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের ছুটির বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে তারা বিষয়টি দেখবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, বর্ষাকালে অতিবৃস্টির কারণে ব্যাপকভাবে পাহাড় ধ্বসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং চট্টগ্রামের সৌন্দর্যহানি ঘটেছে। চট্টগ্রামসহ সকল পার্বত্য জেলায় অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আগতদের আহার বাবদ খাদ্যশস্য সহায়তা (জিআর) দেওয়া বল্পব্দ রয়েছে। এজন্য জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিত্রিক্রয়া সৃস্টি হচ্ছে।জিআর চাল বরাদ্দ পুনরায় চালুর প্রস্তাব করেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর পাহাড়ে যাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি এবং করে যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, কারাগারে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলে বন্দি ও আটক থাকা আসামিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। পালিয়ে যাবার প্রচেষ্টা রোধ করা সম্ভব হবে। কারাগারের নিরাপত্তা স্থার্থে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালুর জন্য তিনি ডাবল ফিডার বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাদের সরকার যে পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ করেছে কোনো সরকার তা করে নাই।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্ম নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, রেজিষ্টেশন ফি কম দেখানোর উদ্দেশ্যে দেশের কিছু সাব- রেজিষ্টার অফিসে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলির রেজিষ্টেশন করা হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নামজারির ক্ষেত্রে নানামুখি সমস্যা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেনজনগনের হয়রানি বন্ধে আমাদের সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, হাওড় অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জের কিছু এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টি মিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা সমুহের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টি মিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যাক্রমে সারাদেশে হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান বলেন, দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবহার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহল। এজন্য এসব এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপন করতে হবে। এটি কার্যকর হলে এসব অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি জাতীয় গ্রীডের ওপর চাপ কমবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান হুমায়ন কবির বলেছেন, সারাদেশে সকল জেলা হতে ইন্সুকৃত লাইসেন্সের সকল তথ্য একটি জাতীয় অনলাইন ডাটাবেসে সংরক্ষণ প্রয়োজন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছাঃ সুলতানা পারভীন বলেন, বন্যায় প্রতিবছর এ জেলায় কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়। তাই এ জেলাসহ রংপুর বিভাগে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেয়া প্রস্তাব তুলেন।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড, আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর বলেছেন, ফৌজদারী কার্যবিধি (সংশোধন) আইন ২০০৯ এর ৮৩ (ক) ধারা সংশোধন করে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফৌজদারী কার্যবিধি ৪৩৫ ধারা নথি তলবের ক্ষমতাটি বাতিল করা হয়েছে। ফলে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (ভ্রাম্যমান আদালত) নথি তলবের ক্ষমতা বাতিল করায় আপীল শুনানীতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। সে কারণে এ ধারাটি সংশোধন করা দরকার। বিভিন্ন সীমান্তবর্তি জেলা দিয়ে দেশে ব্যাপক হারে মাদক আসছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে ও জাতীয় মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হচ্ছে। কিন্তুমাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন’১৯৯০ এ উক্ত নতুন মাদ্রকদ্রব্য সম্পর্কিত কোন বিধান উল্লেখ না থাকায় এ বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রঞন করা সম্বব হচ্ছে না। মাদকদ্রব্য আইনে তফশীলবুক্ত করে শাস্তির বিধান করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দেয়া যেতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বলেন, ঢাকা শহরের চারটি প্রধান নদী শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু মৃতপ্রায়। যেসব খাল, ডোবা বা নালা দিয়ে দহৃষণ ছড়িয়ে পড়ছে তার উৎসমুখ চিহিক্রত করে বর্জ্য পরিশোধনাগার করার প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক এবং মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পক্ষে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বেগম শায়লা ফারজানা ও রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান বক্তব্য রাখেন।
এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন মোট ৩৪৭টি প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিসিরা। এর বেশিরভাগই ভূমি, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাদের গত বছরের প্রস্তাবনার মধ্যে ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ২২টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৮টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে।



 

Show all comments
  • Prapon Aziz ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:১৮ এএম says : 0
    মুখে সব বলা যায়, কাজের বেলায় কিছু নাই। নির্বাচন আসলে বড় বড় কথা বের হয়।।
    Total Reply(0) Reply
  • Fahad Hasan ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:১৯ এএম says : 0
    লিখিতভাবে সীমাবদ্ধ করে দিন তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ থাকবে না ।যা বলেছেন বাস্তবায়ন করলে জোর করে ভোট নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে মনে করি আর এতে সামান্য খরচ হবে মাত্র। নির্দিষ্ট সময়, রেজাল্ট, গুডবাই হলে পুরানো রেকর্ডিংয়ের প্রয়োজন হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Khan ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:১৯ এএম says : 0
    দেশে উন্নয়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ । আগামীতে আরো উন্নয়ন হবে সেই আশা রাখি। আপনার মত প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন করতে পারে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sumon Hoshen ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:২৮ এএম says : 0
    ভোটের অধিকার চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Akram Khan ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:২৯ এএম says : 0
    যে কোন অন্যায় ও বিশৃংখলা কঠোর হাতে দমন করা উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Ahmed ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    জনগন ভোট দিক আর না দিক আওয়ামীলীগ বিজয়ী হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ২৭ জুলাই, ২০১৮, ৪:০৯ পিএম says : 0
    Eai shorkarer amole DC shahebder eai asha,shopno vongger motoi mone hochse....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ