পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সোনা হেরফের হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণে কোনো সমস্যা নেই। ৯৬৩ কেজি স্বর্ণের মধ্যে মাত্র তিন কেজি স্বর্ণ দূষিত। এটা কোনো সমস্যা নয়।
গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেকটিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (জিপিইডিসি) শীর্ষক এক কর্মশালায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান অর্থমন্ত্রী। গত রোববার তিনি দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা সোনার হিসাব ও ওজনে গরমিল নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের তৈরি করা প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর অবশেষে ছয় সদস্যের ‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন’ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এএনএম আবুল কাসেমকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ছয় সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চারজন জিএম (মহাব্যবস্থাপক) ও একজন ডিজিএম। সূত্র জানায়, কমিটি গতকাল মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা রাখার পদ্ধতি আরও আধুনিক করার বিষয়টি ছাড়াও সোনার মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরও আধুনিক পদ্ধতি কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে এর আগে গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এই কমিটি গঠন করে দেন।
এদিকে বাংলাদেশে ব্যাংকের ভল্টে সোনা গরমিল ইস্যুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ‚মিকার সমালোচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সোনা নিয়ে এনবিআরের কোনও কথা বলারই প্রয়োজন ছিল না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সোনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকই সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আপনি কোনও কমিটি করবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এজন্য কোনও কমিটির দরকার নেই। যা করার বাংলাদেশ ব্যাংকই করবে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ৯৩৬ কেজি সোনার মধ্যে দুষিত সোনার পরিমাণ মাত্র তিন কেজি। তাও পুরোটা নয়। কাজেই এটি বড় কোনও সমস্যা নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে অনিয়মের যেভাবে দুনিয়া কাঁপানোভাবে প্রকাশিত হয়েছে এটা পুরোপুরি সত্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের মধ্যে যোগাযোগ ঘাটতিতেই এই সঙ্কট। তবে আমরা বিষয়টিকে ছোট করে দেখছি না। পর্যলোচনা করে কারো বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভূতুড়ে কান্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিন কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখার পর তা মিশ্র বা সংকর ধাতু হয়ে যায়। এছাড়া, ২২ ক্যারেটের সোনা ১৮ ক্যারেট হয়ে গেছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটির জায়গায় এখন আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। আর ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রবিউল হোসেন এবং ভল্টের দায়িত্বে থাকা কারেন্সি অফিসার আওলাদ হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণে কোনো ধরনের হেরফের হয়নি; স্বর্ণকারের ভুলে ভাষার গন্ডগোল ৪০ হয়ে গেছে ‘এইটটি’।
আওলাদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রুটি বলতে যা আছে, নথিভুক্ত করার সময় ইংরেজি-বাংলার ভুল। এর বাইরে অন্য ত্রুটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।