পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অক্টোবরের যেকোনো সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো নিয়েই ছোট আকারে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। এই মন্ত্রিসভায় অন্য কাউকে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ হবে না। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সংলাপ করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বাড়াবাড়ির অনেক অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভাশেষে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে আমার সামনে ছাত্রলীগের নেতাদের বলেছেন- ছাত্রলীগের নামে যেন কোনো বাড়াবাড়ির অভিযোগ তিনি না পান। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগকে সুস্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ চারটি শর্তপূরণ হলে আগামী নির্বাচন হতে পারে- বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. এমাজউদ্দীন আহমদের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য শর্ত দিয়েছে, কোনো শর্ত দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সাংবিধানিকভাবে নিয়মকানুন মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনেও বিএনপি আসবে কি, আসবে না, সেটা দেখার বিষয় না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে। সেটা তো তাদেরই প্রয়োজনে আসতে হবে। নির্বাচন সরকারের অনুদান নয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বিএনপির অধিকার। বিএনপি নির্বাচনে না এলে কি গণতন্ত্র থেমে থাকবে? অবশ্যই না।
তিনি বলেন, বিএনপি এত দিন বলেছে, (কারাবন্দী) খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এখন এক কাঠি বাড়িয়ে বলছে, তারা নির্বাচন প্রতিহত করবে। এতে আমরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার আশঙ্কা করছি। তবে আমরা জনগণকে নিয়ে এটা প্রতিহত করব।
বিএনপিকে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করছে। ভবিষ্যতেও রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করবে। এ ব্যাপারে কেউ অনুমতি চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম এত বড় একটি অনুষ্ঠানে একজনই বক্তা ছিলেন, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমি শুধু মানপত্রটা পাঠ করেছি। এই শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে আওয়ামী লীগ সংগঠিত, সশৃঙ্খল, স্মার্ট এবং মডার্ন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শনিবারই করা হয়েছে। মিছিলের পাশে পরিবহন চলতে পারে কি না, সেদিকে নজর ছিল। তবে তারপরও দুই–একটি ঘটনা ঘটে থাকলে সে জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
গণসংবর্ধনায় অনাকাঙ্খিত নাগরিক দুর্ভোগে
ওবায়দুল কাদেরের দুঃখপ্রকাশ
দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি এ গণসংবর্ধনার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কোনও নাগরিক অনাকাঙ্খিতভাবে কষ্ট ও বিড়ম্বনার সম্মুখীন হয়ে থাকলে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানট সফল করায় অংশগ্রহণকারী সব নাগরিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সংস্কৃতি কর্মী, দেশের সব শ্রেণি-পেশার সম্মানিত অতিথি, শিক্ষক, লেখক, কবি, সাংবাদিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ঢাকা মহানগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তবে অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনও নাগরিক অনাকাঙ্খিত কষ্ট ও বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকলে সে জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সাক্ষর করা বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দল ও সহযোগী সংগঠনের দক্ষতা ও শৃঙ্খলার কারণে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও সুচারুভাবে শেষ হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের সমাবেশের ফলে যাতে নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ সাপ্তাহিক ছুটির দিন গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এরপরও কোনও নাগরিক অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্ট ও বিড়ম্বনার সম্মুখীন হলে সে জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।