পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ২১ জুলাই বিকাল তিনটায় সরকারপ্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে বিশাল শোডাউন করবে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে সকল প্রস্তুতি সনম্পন্ন করা হয়েছে। গণসংবর্ধনায় সরকারের জনপ্রিয়তার জানান দিতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশেপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য থাকবে। জাকজমকপূর্ণ এ আয়োজন দৃষ্টি নন্দন উপস্থাপনা ও বর্ণিল মিছিলে থাকবে প্রাণবন্ত। যা হবে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ সংবর্ধনা।
ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা বর্ণিল সাঁজে সজ্জিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বেলা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত অসংখ্য ছবি আর্ট করেছেন চিত্রশিল্পীরা। এবং তা পুরো মাঠের বিভিন্ন স্থানে সাঁজানো হয়েছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, অস্ট্রেলিয়া গেøাবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং সর্বশেষ ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রি অর্জন করায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দিচ্ছে তার দল।
ক্ষমতাসীন দল মনে করে, দেশের এসব অর্জন এবং উন্নয়নের একমাত্র অধিনায়ক শেখ হাসিনা। উন্নয়নশীল দেশের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। দলনেতার এসব কৃতিত্বকে স্মরণীয় করতে গণসংবর্ধনার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এবং শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা জানান দিতেই এ গণসংবর্ধনা এবং শো-ডাউন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব শ্রেণি- পেশার মানুষের উপস্থিত থাকবে অনুষ্ঠানস্থলে। সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলালীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ থাকবে নজিরবিহীন।
এছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেবে। বাস, ট্রাক ও রেলপথে নেতাকর্মী ঢাকায় এসে বর্ণিল মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে সমবেত হবে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সংসদ সদস্য ছাড়াও সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেবে। বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণে অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাবে তার উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও এদিন শোডাউনের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজধানী থেকে দূরবর্তী বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দলীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। পুরো নগরবাসীর সঙ্গে আমরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনেক দিয়েছেন। বিনিময়ে কিছুই তিনি প্রত্যাশা করেন না। নগরবাসী এদিন কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিবে। আমরা চাই এদিন যেন সুশৃঙ্খলভাবে, যান চলাচল ব্যাহত না করে, পুরো রাজধানীই প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাস্থলে পরিণত হয়।
আজ যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
আজ শনিবার বিকেল ৪ টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা প্রদান করা হবে। যে কারণে ওই দিন উদ্যানের চারদিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই দিন বেলা ১টা থেকে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ হতে মৎস্য ভবন, টিএসসি হতে দোয়েল চত্বর রাস্তা বন্ধ থাকবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণসংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকা হতে বিভিন্ন পরিবহনযোগে ও পায়ে হেঁটে অসংখ্য নেতাকর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পেশাজীবী ও সাধারণ জনগণের আগমন ঘটবে। এ কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই দিন বেলা ১টা হতে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ হতে মৎস্য ভবন, টিএসসি হতে দোয়েল চত্বর রাস্তা বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে বাংলামোটর, কাকরাইল চার্চ, ইউবিএল, জিরো পয়েন্ট, গোলাপশাহ মাজার, চাঁনখারপুল, বকশীবাজার, পলাশী, নীলক্ষেত, কাঁটাবন ক্রসিং দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সাধারণ গাড়িগুলোকে ডাইভারশান দেয়া হতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিরপুর থেকে যে সকল নেতাকর্মী বাসে আসবেন তাদের গাড়ি মিরপুর রোড দিয়ে এসে নীলক্ষেত এলাকায় পার্ক করবেন। উত্তরা, মহাখালীর দিক দিয়ে যে সকল নেতাকর্মী বাসে আসবেন তাদের গাড়ি মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-নাইটিংগেল-ইউবিএল-জিরো পয়েন্ট-হাইকোর্ট হয়ে দোয়েল চত্বরে নামিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়ামে পার্ক করতে হবে। ফার্মগেট-সোনারগাঁও-শাহবাগ হয়ে যে সকল নেতাকর্মী বাসে আসবেন সে সকল গাড়ি টিএসসি রাইট টার্ন করে মল চত্বরে পার্ক করবেন। যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, বংশাল দিয়ে যারা আসবেন তাদের গাড়ি জিরো পয়েন্ট, হাইকোর্ট হয়ে দোয়েল চত্বরে নামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়ামে পার্ক করবেন। লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর থেকে আগতদের গাড়ি পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় পার্ক করতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।