পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষা করে দেশকে আগামী দিনে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে চাই, যেন আগামী দিনেও আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে। এজন্য সরকার শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছে এবং শিক্ষার বহুমুখীকরণ ও কারিগরি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে গণভবনে পরীক্ষার ফলাফলের সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এবারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ডিজিটালাইজেশনের কারণে অনেক উন্নত দেশেও এ ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
এবার আধাঘন্টা আগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং পরীক্ষার ২৫ মিনিট আগে কয়েকটি সেটের মধ্য থেকে কোন প্রশ্নের সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা মোবাইল এসএমএস’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে জানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগগ্রহণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, নকল করতে হবে কেন, একটু মনযোগী হলেইতো পরীক্ষায় পাশ করা যায়। শিক্ষাকে জীবনের অন্যতম সম্পদ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলে- মেয়েরা অনেক অনেক মেধাবী। কাজেই সেই মেধাকে আমাদের দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে থাকার জন্য সতর্ক করে দিয়ে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন বলেই জাতির পিতা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। যার রিপোর্ট তিনি বাস্তবায়ন করে যাবার মত সময় পাননি।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ’৯৬ পরবর্তী সরকার গঠনের পর প্রতিটি জেলাকে নিরক্ষর মুক্ত করার উদ্যোগও পরবর্তী মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসতে পারার কারণে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার তাদের মেয়াদে শিক্ষার হার না বাড়িয়ে আমাদের রেখে যাওয়া ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশকে কমিয়ে আবার ৪৫ শতাংশে নিয়ে আসে। যেমনটি ’৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় পেয়েছিলাম।
এ সময় মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।