Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ইইউর

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

 বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আবারও এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগান্ড বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। আশা করছি আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ,নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও বস্তুনিষ্ঠ হবে। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারবে। ছোটবড় সব নির্বাচন ইইউ এমন দেখতে চায়। এ ব্যাপারে সব ধরণের সহায়তাও করা হবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জোটটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগান্ড।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে গানার উইগান্ড বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা সব সময় বৈধ অভিবাসনকে স্বাগত জানাই। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের বড় অংশীদার ইইউ। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে অস্ত্র ছাড়া বাণিজ্যের সব শাখায় শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। ইইউ’র বাজারে রফতানি আরও বাড়াতে বাংলাদেশকে আরও কিছু শর্ত (পোশাক খাতের সাসটেইনেবিলি কমপেক্ট) বাস্তবায়ন করতে হবে। ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশ যদি ইইউ’র জিএসপি প্লাস (অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা) সুবিধা পেতে চায়, তবে এই শর্ত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানিয়ে গানার উইগান্ড বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা করে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানান গানার উইগান্ড। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এটা তাদের সঙ্গে একটি নিয়মিত বৈঠক বলেও জানান তিনি।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উভয়পক্ষের মধ্যে এই বৈঠক শুরু হয়। পৌনে দুইটা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার, শ্রমিক অধিকার, পোশাক শিল্প পরিস্থিতি, ইউরোপে অবৈধ অভিবাসী নিয়ে আলোচনা হয়। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো সহযোগিতা, ইউরোপে পোশাক শিল্প রফতানিসহ বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় বৈঠকটি হয় ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রয়ারি ব্রাসেলসসে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ