পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় ফেরার ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা আর জনগণের ওপর ভরসার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সামনে আবার নির্বাচন। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আল্লাহর ওপর আর জনগণের ওপর। যদি আল্লাহ দেন আর জনগণ যদি ভোট দেন তাহলে আবার ক্ষমতায় আসবো, না দিলে আসবো না।’
গতকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করে একথা বলেন তিনি। বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী ও প্রতিবন্ধীসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন সুবিধাভোগীরা এখন ভাতা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাবেন। প্রথমবারের মতো এই ভাতা বিতরণ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উপকারভোগীদের ব্যাংক হিসাবে টাকা পৌঁছার খবর তাদের মোবাইল ফোনে চলে যাবে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সে টাকা তুলতে পারবেন তারা। দেশে সব মিলিয়ে ভাতাপ্রাপ্তদের সংখ্যা এখন প্রায় ৬৭ লাখ। তবে গতকাল ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার পদ্ধতির আওতায় এসেছেন এক লাখ ১৫ হাজার জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে বয়স্ক এবং পরে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তদের জন্য ভাতা চালু করেন। পরে চালু হয় প্রতিবন্ধী, হিজড়া, চা শ্রমিক, বেদেদের ভাতা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর হামলার সময় তিনি এলাকায় গিয়ে জেনেছেন, বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
জনগণের টাকা আর যেন কেউ আত্মসাৎ করতে না পারে সেজন্য কাজ করছে সরকার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভাতা প্রদান কার্যক্রম চালু হবার ফলে এখন থেকে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী কারও কাছ থেকে কমিশন নিতে পারবে না। কারণ ভাতাভোগীর টাকা তার নিজের অ্যাকাউন্টেই যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমন পরিমাণে ভাতা দিব, যা দিয়ে আপনি খাদ্য কিনতে পারবেন; কিন্তু কাজ আপনাকে করতে হবে। শুধু ভাতার ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। যারা কর্মক্ষম তারা কাজ করবেন। শুধু ভাতার ওপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে কর্মবিমুখ হয়ে পড়বেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো সংসার চালানোর দায়িত্ব আমরা নেব না। তবে যে ভাতা দেব সে ভাতায় আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা হবে। বয়স্ক মানুষ যখন ভাতা পায় তখন ছেলেমেয়েরাও তাকে গুরুত্ব দেয়। তার পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা দূর হয়। তাকে সংসারে বোঝা না ভেবে গুরুত্ব দেয়া হয়। তিনি বলেন, আজ কিছু দুঃখি মানুষের মুখে হাসি দেখে আমি সত্যিই খুব অভিভূত। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলব। প্রতিটি গ্রামে মানুষ শহরের মতো সুবিধা পাবে।
সরকার গঠনের পর বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ এ যখন সরকার গঠন করি তখন দেখি ৪০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম খাদ্য ঘাটতি দূর করতে হবে। তখন বিএনপি ছিল সংসদে বিরোধী দল। সংসদে তারা বলত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যাবে না। তাহলে বাইরে থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না অর্থাৎ ভিক্ষা পাওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মানুষের ও সমাজের কথা চিন্তা করি বিধায় বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা চালু করেছি। হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় সমাজের অনগ্রসর যারা তাদের উন্নয়নে কাজ করি। তাদের জন্য ভাতা প্রবর্তন করেছি।
এ সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোজাম্মেল হক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।