পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে নির্বাচন, জনগণ ভোট দিলে আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসব, নয়তো আসব না। এটা জনগণের ওপর নির্ভর করে, আল্লাহর ওপর নির্ভর করে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে ক্ষমতা দেন।
মানুষের সেবা করাই আমাদের কাজ, মানুষের পাশে থাকাই আমাদের কাজ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাধীন সুবিধাভোগীদের ভাতাসমূহ ইলেক্ট্রনিক উপায়ে বিতরণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি ভাতা দেওয়ার পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা সৃষ্টি করে যাচ্ছি। যাতে হতদরিদ্রদের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকারি ভাতার টাকা এখন আর কেউ মেরে খেতে পারবে না। এই ভাতার টাকা এখন আর কেউ মেরে খেতে পারবে না। মাঝখান থেকে কেউ আর টাকা নিতে পারবে না, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় সে জন্য আমরা সহযোগিতা দিচ্ছি। পুরো সংসারের দায়িত্ব আমরা নেব না। মানুষ যাতে পুরোপুরি ভাতার ওপর নিভর্রশীল না হয়, কর্মবিমুখ না হয়।
সরকারি ভাতার ওপর নির্ভর করে কর্মবিমুখ না হতে হতদরিদ্রদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির লক্ষ্য ছিলো দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না করা। মানুষের জন্যই কাজ করি আমরা। মানুষের জন্যই তো রাজনীতি আমাদের, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের আমলে দুঃস্থ মানুষ সেবার বদলে বারবার নিগৃহিত হয়েছে। তখন সামাজিক ভাতা ১০০ টাকা দিলে মাঝখান থেকে ৫/১০ টাকা নিয়ে নিতো। এখানেও দুর্নীতি ছিলো। এমন ব্যবস্থা চালু করে যাচ্ছি যাতে মানুষকে আর ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
নরসিংদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জের প্রান্তিক এলাকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৫ সালে ১৩ শতাংশ হতদরিদ্র মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকলেও, ২০১৮ সালে তা বেড়ে ২৮ শতাংশ প্রান্তিক মানুষ এখন সুবিধা পাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বয়স্ক-বিধবা-স্বামী নিগৃহিতা এবং প্রতিবন্ধীসহ অসহায় মানুষকে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তার সহায়তা। বর্তমানে ৬৬ লাখ ১৬ হাজার প্রান্তিক মানুষ সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সেবা পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভাতাভোগী মানুষের মধ্যে ইলেকট্রনিকভাবে এসএমএস এর মাধ্যমে টাকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মধুমতি, এনআরবি, ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে এই টাকা তোলা যাবে। সমাজের অবহেলিত-পশ্চাৎপদ মানুষের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।