পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আনারস মুখে দিলেই স্বাদ বলে দেয় তার অবস্থানের কথা। সিলেটের জলডুবির সঙ্গে পার্বত্য তিন জেলার জলডুবির কোন তুলনাই হয় না। দুই এলাকার আনারসের স্বাদ এক হতে পারে না। আবার পার্বত্য জেলায় বড় আকৃতির আনারসের চাষ হচ্ছে। সেটিরও স্বাদ আলাদা। তেমনি টাঙ্গাইলের মধুপুরের আনারসের স্বাদে ভিন্নতা রয়েছে।
ময়মনসিংহে বসে এসব কথা বলার নিশ্চই কারণ আছে। আর সেটি হচ্ছে সিলেট, পার্বত্য তিন জেলা ও মধুপুরের আনারসের স্বাদ তো একটি বারের জন্য হলেও নিয়েছেন। এবার দেখুন না ময়মনসিংহের আনারসের স্বাদ কেমন? আনারস শব্দের অর্থ হচ্ছে রস নেই। অথচ এই ফলটি রসে ভরপুর। ময়মনসিংহের আনারস একবার মুখে দিলে আরকেবার খাওয়ার ইচ্ছা হবেই। আর এসব কথা বলেছেন তারই যারা এবার ময়মনসিংহে আনারসের চাষ করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা সদর ও পাশ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলায় এবার আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০ হাজার একরেরও বেশি জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। জেলা সদর ছাড়াও মুক্তাগাছা, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় আনারস চাষ হয়েছে। এর বাইরে টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও জামালপুর সদর উপজেলায়ও আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, ময়মনসিংহ হচ্ছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল শালবনের একাংশ। শালবন এলাকার মাটি আনারস চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আর জলবায়ুও রয়েছে আনারস চাষের অনুকূলে। এবার প্রতি হেক্টর জমিতে সত্তর থেকে আশি আবার কোথাও কোথাও ১০০ টন ফলন হয়েছে।
আনারসের সবুজ রঙ পাল্টে বর্তমানে হলুদ হতে শুরু করেছে। আর কৃসকরা জমি থেকে কাঁচাপাকা আনারস তুলে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অত্যন্ত সুস্বাদু আনারস ময়মনসিংহ ছাড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় দামও হাতরে নাগালেই রয়েছে। শুরু থেকে আনারস কেটে বাজারে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এবার যা খরচ হয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কৃষকরা দারুণ খুশি।
বর্তমানে ময়মনসিংহ ও উপজেলার পাইকারি বাজারে আকার ভেদে প্রতি হালি আনারস সর্বনিম্ন ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিগত মৌসুমের চেয়ে এবার কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষে বেশি উদ্যোগী হয়েছেন। আর তারা এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগও কৃষকদের দিকে আনারস চাষে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কৃষি বিভাগের সহায়তা এই দুইয়ে মিলে বাম্পার ফলন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।