পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র বাধার মুখে ৩ মাস থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলার গজুকাটা সীমান্ত এলাকার একটি জামে মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। ২শ’ বছরের পুরনো এই মসজিদটি পুনঃনির্মাণ কাজে বিএসএফ বাধা প্রদান করায় সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত খোদ ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ ।
সরেজমিন বিয়ানীবাজার উপজেলার গজুকাটা সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ১৩৫৭ নং পিলারের ভেতরে বাংলাদেশ অংশে গজুকাটা গ্রামের জামে মসজিদের ২শ’ বছরের পুরনো পাকা ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এলাকার মুসল্লিরা এই অবস্থায় মসজিদের ভেতর নামাজ আদায় করছেন। মুসল্লিরা জানান, অনেক বছর পুর্বে একজন ইঞ্জিনিয়ার মসজিদের ভেতর প্রবেশ কিংবা নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকার জন্য মুসল্লিদের অনুরোধ করেন। তারপর এলাকাবাসী মসজিদের পাশের ঈদগাহে নতুন মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আফতাব উদ্দিন বলেন, মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রামবাসী নেওয়ার পর তারা বিজিবি’র সহায়তা চান। তৎকালীন বিজিবি-৩২ ব্যাটলিয়ানের কমান্ডার বিএসএফ’র কমান্ডারের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলে তারা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মসজিদ নির্মাণ কাজের নিচ অংশের পিলার-লিন্টারসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ছাদ ঢালাইয়ের জন্য প্রস্তুতির এক পর্যায়ে বিএসএফ সরাসরি বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে চলে যায়।
মসজিদের ইমাম হাফিজ বিলাল আহমদ জানান, বিএসএফ এর বাধার পর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৩ মাস থেকে মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার কারণে ২ শতাধিক বস্তা সিমেন্ট ও কয়েক’শ ফুট বালু নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান, বৃষ্টির এই দিনে পুরনো মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে অনেক মুসল্লিকে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে হয়। পুরনো পাকা ভবনের ছাদ দিয়ে সরাসরি মুসল্লিসহ তার উপর বৃষ্টির পানি পড়ে থাকে।
দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ২শ’ বছরের প্রাচীন এই মসজিদ নির্মাণ কাজে আমাদের সহযোগিতা রয়েছে। বিএসএফ মসজিদ নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সংবাদ আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি শুনার পর আমি বিজিবি-৫২’র কমান্ডিং অফিসারের সাথে আলাপ করে মসজিদ নির্মাণ কাজ যাতে তড়িৎ আরম্ভ করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে বিজিবি-৫২ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আহমদ ইউসুফ জামিল এর সাথে ফোনে কথা বললে এ বিষয়ে তিনি ইনকিলাবকে জানান, মসজিদ নির্মাণ হউক তা আমরা চাই তবে মসজিদটির অবস্থান সীমান্তের ৩০ গজের মধ্যে। তাই এ বিষয়ে তাদের করার কিছু নেই। তিনি এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে তিনি মসজিদ নির্মাণের স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ বিষয়ে উর্ধতন মহলে কথা বলেছেন। এলাকার লোকজনের একমাত্র নামাজ আদায়ের স্থান এই মসজিদটি যাতে কম সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা যায় সে লক্ষ্যে তিনি উপর মহলে কথা বলবেন বলে জানান। ইউএনও জানান, ইতোমধ্যে বিজিবি’র কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। বিজিবি তার দপ্তরে লিখিত ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছে। বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হলে বিষয়টির সমাধান হবে বলে মনে করেন কাজী আরিফুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।