পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। সেই বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আমরা আর কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে চাই না।
তিনি বলেন, কাজেই শিল্পের দিক থেকেও বিশেষ করে চলচ্চিত্র শিল্পের দিক থেকেও আমরা যেন বিশ্ব মানের চলচ্চিত্র তৈরি করে এগিয়ে যাই। তার জন্য যা করা দরকার আমি করে যাবো। আমি জানি আমার বাবার হাতে তৈরি করা এই এফডিসি। তাই এই শিল্পের জন্য যা যা করা দরকার আমি আমার পক্ষ থেকে করে দেবো।
গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আমাদের যে সংগ্রাম তা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে অনেক কথা বলা যায়। সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখা যায়। একটা সময় একটা কারণে এই চলচ্চিত্র দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলো। এখন কিন্তু আবার চলচ্চিত্রের জগতটা ফিরে আসছে।
আমি আশা করি আমাদের চলচ্চিত্র আধুনিক হবে। চলচ্চিত্রের শিল্পীরা আরও আধুনিক হবেন। কারণ, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করেছি। সুতরাং আমি আশা করি চলচ্চিত্র উন্নত হোক, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যাক।
নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আজকের পার্লামেন্টে একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে কাজ হয়েছে। আমাদের জাতীয় সংসদে যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে তার সময়সীমা আরও ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অত্যন্ত জরুরী ছিলো।
এর আগে গতকাল তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৮ এর নির্বাচিত জাতীয় পর্যায়ের ১২ জন সেরা মেধাবীর মাঝে পুরস্কার বিতরণকালে প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে টিকে থাকার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকেও এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগুতে হবে। আমরা সেভাবেই আমাদের শিশু-কিশোরদের গড়ে তুলতে চাই এবং শিক্ষাই তাদের বিকাশের একমাত্র চাবিকাঠি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আরো দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছি, যার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে নেটওয়ার্কটা চালু হবে। সমুদ্র থেকে বাংলাদেশের সর্বত্র যোগাযোগ স্থাপনে আমাদের স্যাটেলাইট কাজ করবে। শিক্ষায়, স্বাস্থ্যসেবায় সব কিছুতেই অবদান রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, সরকার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে, আরো জটিল এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির সন্নিবেশ ঘটাচ্ছে, যেগুলো চালাতে ভবিষ্যতে অনেক দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্মত বাংলাদেশকে গড়তে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। গ্রাম বাংলায় যে সোনার টুকরো ছড়িয়ে আছে, আমরা সেই সোনার টুকরোগুলো খুঁজে বের করছি। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছি।
সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেখেছি আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের ছেলে মেয়েদের দুই-দুইয়ে কত হবে জিজ্ঞেস করলে গুনতে বসবে, কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়েরা সহজেই বলে ফেলবে চার। সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের দেশে বিদেশে কাজের সুযোগ করে দেয়া হবে। যাতে তারা নিজেদের মেধা মননের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন।
এদিন নির্বাচিত শীর্ষ ১০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নির্বাচিত ১২ জনকে এদিন ‘মেধা অন্বেষণ-২০১৮’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে একটি ট্রফি, এক লাখ টাকার বৃত্তি এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। জাতীয় পর্যায়ের সেরা ১২ মেধাবী শিক্ষার্থী ৯ জুলাই পাঁচদিনের শিক্ষা সফরে তুরস্ক যাবে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাকি ৯৬ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককেও পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা এবং সনদপত্র প্রদান করেন।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।