প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর: সহজ সরলভাবে শরীয়ত মেনে নিলে এসব সমস্যার সৃষ্টিই হয় না। নিয়ম হলো, ব্যক্তির মৃত্যুর দু’য়েকদিনের মধ্যেই সব সম্পত্তি ওয়ারিশানদের মাঝে বণ্টন করে বুঝিয়ে দেওয়া। তখন পরস্পরের প্রতি যে মায়া ও নম্রভাব থাকে তা সময়ক্ষেপনের ফলে বিরোধ ও কঠোরতায় রূপ নেয়। শয়তান ও মানুষরূপী ওয়াসওয়াসা দানকারী দুষ্ট শক্তি এ বিষয়ের ভেতর ঢুকে যায়। তখন আর সহজে কেউ কাউকে তার পাওনা দিতে চায় না। বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই অশান্তির মূল হচ্ছে সম্পত্তি বণ্টনে দেরী করা এবং সহজ সরল মনে শরীয়ত মেনে না নেওয়া। আপনার সমস্যাটি এমন নয়। যদি বাবা-মার স্মৃতি হিসাবে সম্পত্তি রেখে দেওয়া হয় তাহলে আপনারা না থাকার সময় এগুলির কি হবে? প্রজন্ম পরিবর্তনে সব স্মৃতি ম্লান হয়ে যায়। এখানে যদি কারও আর্থিক প্রয়োজন দেখা দেয়, নির্দ্বিধায় তাকে তার সম্পত্তি বুঝিয়ে এবং ভোগ-তসরুপ করতে দেওয়া সকলের উচিত। না দিলে সবাই গুনাহগার হবে। যদি সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে রাখতে হয় তাহলে সমঝোতার ভিত্তিতে অন্যরা কিনে রাখতে পারেন। যিনি বিক্রি করতে চান তাকে তার সুযোগ সুবিধা দিয়ে কোনো পথ বের করতে হবে যাতে অন্যদের প্রত্যাশা পূরণ হয়। আবেগ, স্মৃতি রক্ষা, সৌন্দর্য ইত্যাদির চেয়ে অধিকার অনেক বড়। কোনোক্রমেই কারও অধিকার আটকে রাখা, বিলম্বিত বা উপেক্ষা করা শরীয়ত সমর্থন করে না। অতএব আপনার ভাই-বোনদের উচিত শরীয়তকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা ও বোঝাপড়াগুলো বাস্তবায়ন করা।
সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।