Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা বা শিল্পস্থাপন নয় : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:২০ এএম

কৃষি জমি নষ্ট করে শুধু ইটভাটা নয়, শিল্পকারখানাও স্থাপন বা বাড়িঘর নির্মাণ করা যাবে না। এজন্য সরকার নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এ আইন প্রণয়ন হলে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল শনিবার পোড়ানো ইটের বিকল্প বিষয়ে সহায়ক নীতিনির্ধারণে করনীয় শীর্ষক সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রোমোটিং সাসটেইনেবল বিল্ডিং ইন বাংলাদেশের ব্যানারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ইউরোপিয় ইউনিয়ন, সুইচএশিয়া, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), বেলা, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম বাংলাদেশ এ সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা করে।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ইট তৈরি করতে গিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের মাটি নষ্ট করে ফেলা যাচ্ছে। এরফলে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে এবং উৎপাদন কমে যাবে। দেশ ভবিষ্যতে খাদ্যসংকটে পড়বে। সরকার ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করেছে। সংশোধিত এ বিধিমালায় পোড়া ইটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নির্মাণকাজে পোড়া ইটের ব্যবহার ২০২০ সালের মধ্যে বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে এইচবিআরআই স্যান্ড-সিমেন্ট বøক উদ্ভাবন করেছে। পোড়া ইটের চেয়ে এ বøক অধিক সাস্ত্রয়ী এবং টেকসই।
তিনি বলেন, সরকার কৃষিজমি সুরক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে। মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোন কৃষিজমি নেওয়া বা নষ্ট করা হয়নি। অথচ মিরসারই এলাকায় অনেক বড় বড় শিল্প মালিকেরা কৃষি জমি কিনে শিল্পস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলোতে শিল্পস্থাপনে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। কৃষিজমি সুরক্ষায় সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং স্যান্ড-সিমেন্ট বøকের ব্যবহারকে জনিপ্রিয় করেত তুলতে কাজ করতে হবে।
জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বুয়েটের গ্রিন আর্কিটেকচার সেলের সমন্বয়ক ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দ্দার, এইচবিআরআই-এর পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এম বি আখতার প্রমুখ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আয়োজক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি ছাড়াও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউকসহ বিভিন্ন সরকারি-সেবরকারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ