Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের নির্দেশ উপেক্ষা : দু’টি পদ দখল করে আছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বজলুল হক

প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাহী ও বিচার বিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধভাবে দু’টি প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালকের পদ আঁকড়ে রেখেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. বজলুল হক। কোন ধরণের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই প্রায় ২৫ বছর পূর্বে অবৈধভাবে চাকরি নেন বজলুল হক। এরপর থেকে কৌশলে বিভিন্ন সরকারের উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই সময়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এমনকি ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে প্রায় দুই শতাধিক অভিযোগ সম্বলিত রিপোর্ট প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
জণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার লিখিত সুপারিশে উপ-সহাকারি প্রকৌশলী হিসেবে অবৈধভাবে নিয়োগ পান বজলুল হক। এরপর থেকে দাপটের সাথে অধিদপ্তরে বিভিন্ন অনিয়ম চালিয়েছেন। এ জন্য তিনি বিভিন্ন সরকারের সময়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে কৌশলে ম্যানেজ করেছেন। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করে একাই দুই পদ দখল করে বসে আছেন। অথচ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ২০ এপ্রিল পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় একজন প্রকল্প পরিচালক একটির বেশি প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকেও উপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বজলুল হকের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প, ৪০ টি পানি সরবরাহ ও এনভায়রণমেন্টাল স্যানিটেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রকল্পে বজলুলহকের পরিবর্তে প্রকল্প পরিচালক করা হয় মো. সারওয়ার হোসেনকে। কিন্তু বজলুল হক মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে। আদালত ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেয়। পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা-এর নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ শুনানীতে ওই আবেদন খারিজ করে। তারপরও বেআইনিভাবে পদ আঁকড়ে রেখেছেন বজলুল হক। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে নানা সমালোচনা ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি সরকারের পৃথক আরেকটি নির্দেশনায় মো. বজলুল হককে ৭ জানুয়ারির মধ্যে নতুন প্রকল্প পরিচালকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়। অথচ বজলুল হক এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে একাই দুই পদে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী মো. বজলুল হকের সঙ্গে গত শনিবার একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। গতকাল এ বিষয়ে আবারো কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ