Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৬ জেলায় পাসপোর্ট অফিস

* প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘জুট টেক্সটাইল মিল’ * ৬৪৯৩ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দেশের ১৬টি জেলায় নতুন করে আরো ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব ভবন নির্মাণে খরচ হবে ৮৭ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এই টাকা যোগান দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ নির্বাচিত জেলায় পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের কাজ শেষ হবে। যেসব জেলায় নতুন করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হবে সেগুলো হলো- পঞ্চগড়, নাটোর, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, জয়পুরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী এবং ঠাকুরগাঁও। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে মানুষের হয়রানি অনেক কমে যাবে। সুবিধাজনক এলাকা থেকে মানুষ পাসপোর্ট নিতে পারবে।
গতকালের একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় একটি বিশেষায়িত পাটকল মিল প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল’ শিরোনামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৫১৯ কোটি টাকা। সরকারি কোষাগার থেকে এই টাকা দেওয়া হবে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে সেখান থেকে পরিবেশবান্ধব সংমিশ্রিত সুতা ও কাপড় উৎপাদন করা যাবে। এছাড়া স্থানীয়দের চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। বহুমুখী পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে প্রকল্পটি সহায়ক হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাট ও তুলার সংমিশ্রণে সাশ্রয়ী মূল্যে সুতা উৎপাদন করে সুতা থেকে কাপড় ও পোশাক তৈরি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। পাশাপাশি দেশীয় তৈরি পোশাক শিল্পকে সাশ্রয়ী মূল্যে সুতা ও কাপড় সরবরাহ করা যাবে।
১৬ জেলায় পাসপোর্ট নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন সবকিছু বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। পাসপোর্ট একটি অন্যতম সেবা। নানা কারনে মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে। পাসপোর্ট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। সারা দেশের মানুষ ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে যাতে ভিড় না করে, সেজন্য জেলা পর্যায়ে এসব সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মানুষ সুবিধাজনক স্থান থেকে উন্নত মানের পাসপোর্ট সেবা নিতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, একনেকে ছয় হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে আসবে তিন হাজার ২৭৯ কোটি টাকা। সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ১৮০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা।
গতকালের একনেক সভায় পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধানাগার প্রকল্পটি সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির সময় ও টাকা দুটোই বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের খরচ তিন হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার ৬৭০ কোটি টাকা করা হয়েছে। তাতে খরচ বেড়েছে ২৯৫ কোটি টাকা। আর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় যশলদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীর পানি শোধন করে সেটি পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় তিনটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও দুটি কমিউনিটি সেন্টার সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গতকালের একনেক সভায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২৬৯ কোটি টাকা। নতুন করে নির্মাণ করতে যাওয়া ভবনগুলো হবে দশতলা ভিতের ওপর। নতুন তিনটি কমিউনিটি সেন্টার হলো সরদার কমিউনিটি সেন্টার, শায়েস্তা খান কমিউনিটি সেন্টার ও মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কমিউনিটি সেন্টার। আর পুরনো দুটি কমিউটিনিটি সেন্টার সংস্কার হবে। সেগুলো হলে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাসাবো এলাকায় বিদ্যমান কমিউনিটি সেন্টার। সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো ঢাকাস্থ গুলশানে ১৩২/৩৩/১১ কেভি ভ‚-গর্ভস্থ গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ, মোল্লারহাটে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভ‚মি অধিগ্রহণ ও ভ‚মি উন্নয়ন এবং সোনাইমুড়ী সেনবাগ-কল্যান্দী-চন্দেরহাট-বসুরহাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ