পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, দেশিয় ও আমদানি বিকল্প শিল্পের প্রসারে নতুন বাজেটে শুল্ক ও কর কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১০টি অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর ফলে বিশে^র অনেক দেশের খ্যাতনামা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল সোমবার ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জেবি মার্কেটের ১০তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত ব্যবসায়ী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর নবাবপুরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই এর পরিচালক খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন রাজা, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন এবং জেবি মার্কেট প্রতিষ্ঠাতার কন্যা শিউলী আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকাকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়ন কার্যক্রম গতিশীল করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশ এখন বিশে^র ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে মাথাপিছু আয় ১৭৫২ মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পখাতের অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ অতি দ্রæত উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ অর্জনে বর্তমান সরকার হালকা প্রকৌশল শিল্প প্রসারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ শিল্পের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জে পৃথক শিল্পনগরি গড়ে তোলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কেমিক্যাল, প্লাস্টিক মুদ্রণসহ অন্যান্য শিল্পখাতের জন্য আলাদা শিল্পনগরি স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিল্প কারখানাগুলোকে এসব পরিকল্পিত শিল্পনগরিতে স্থানান্তর করা হবে। একই সাথে এসব শিল্পনগরির কারখানাগুলোতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ প্রয়োজনীয় ইউটিলিটি সেবা নিশ্চিত করা হবে। দেশের হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতে গড়ে ওঠা মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প কারখানার গুণগত মানোন্নয়ন ও প্রসারে জেবি মার্কেট অগ্রণী অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেবি মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। ১০তলা বিশিষ্ট এ নতুন মার্কেটে ২ শতাধিক হার্ডওয়্যার, টুলস্ ও মেশিনারিজের দোকান থাকবে। এতে উন্নতমানের হার্ডওয়্যার, টুলস্, মেশিনারিজ ও খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি হবে। এতে সরাসরি ১ হাজার লোকের এবং পরোক্ষভাবে আরও ১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এর ফলে বাংলাদেশে উৎপাদনমুখী হালকা প্রকৌশল শিল্পখাত বিকশিত হবে। বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতের গুণগত পরিবর্তনে এ মার্কেট ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।