পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা সংস্কারের কমিটি করার কথা থাকলেও তা আজও বাস্তবায়ন করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে কোটা সংস্কারের বিষয়ে কোনো খবর নাই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের ফের আন্দোলনে নামার বিষয়টি জানা রয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেছিলেন, কোটা পদ্ধতিই থাকবে না, ‘এটা বাতিল’।একইসঙ্গে ওই দিনই কোটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করার কথাও বলেছিলেন, যে কমিটি পরবর্তী সুপারিশ করবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করলেও তাতে কোনো অগ্রগতি না দেখে আবারো আন্দোলনে নামে স¤প্রতি। এর মধ্যে শনিবার তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের মারধর করে একদল ছাত্রলীগকর্মী। গতকাল আন্দোলকারীদের অন্যতম নেতা রাশেদ খানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নতুন করে আন্দোলনে নামার বিষয়টি সংবাদপত্রে দেখেছেন তিনি। ইসমাত আরা বলেন, কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তার বাইরে আমার বলার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে যে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার কোনো অগ্রগতি আছে কি এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, বলেছিলেন, সেটা (কমিটি) হবে। কবে নাগাদ কমিটি হতে পারে- সেপ্রশ্নে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আপনাকে আমি কোনো আপডেট দিতে পারছি না। কমিটি হবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর কোটা সংস্কারে কমিটি করা হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান বার বার বলে আসছিলেন।
গত মে জনপ্রশাসন সচিব মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা সংস্কার করতে একটি কমিটি গঠনের রূপরেখা ওই দিন সকালেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। মোজাম্মেল বলেছিলেন, কমিটির সদস্য ৪ রেথকে ৫ জন হতে পারে। তারপর আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। সরকারি প্রজ্ঞাপন না পেয়ে ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ফের আন্দোলন শুরু করেছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবি তুলেছিল। কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণের দাবিও জানিয়েছিল তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।