পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যই এই সরকারের পতন ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া চলছে। যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে চায়, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে তাদের নিয়ে এই ঐক্য হবে। জাতীয় ঐক্য অর্জন করে এমন উপযুক্ত সময়ে কর্মসূচি দেয়া হবে যে, সেই ঐক্য এবং কর্মসূচির মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য হলেই সরকার পতনের উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া দেয়া হবে। তখন আর আপনাদের এই বদ্ধ ঘরে থাকতে হবে না। আপনারা তখন রাজপথে থাকবেন। কারণ কোনো স্বৈরাচার সরকারের পতন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে হয় না। ’৭৫ সালের আওয়ামী লীগ আর বর্তমান আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই দাবি করে তিনি বলেন, তারা তখন বাকশাল কায়েম করেছিলো। যদিও সেটা লিখিত ছিলো। কিন্তু বর্তমানে অলিখিতভাবে প্রতারণা ও প্রবঞ্চনার মধ্য দিয়ে সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই যে কলঙ্ক আওয়ামী লীগ লেপন করলো এ থেকে কোনোদিনই মুক্ত হতে পারবে না। গাজীপুর ও খুলনার পর তিন সিটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যৌক্তিকতায় মওদুদ বলেন, দেশের মানুষকে বোঝানোর জন্য যে দলীয় সরকারের অধীনে কখনো কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না এবং বিশেষ করে এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। এটা খুলনা ও গাজীপুরে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটেও তাই হলে আমরা ভিন্ন চিন্তা করবো।
সরকার নানা কলাকৌশল করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেণ, আমাদের প্রথম কাজ দেশনেত্রীকে মুক্ত করা। তার মুক্তির মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সরকার যত কলা-কৌশল করুক না কেন তাকে দীর্ঘদিন আটকে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকেই এই সরকার সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। তারা ভয় পায় যদি বেগম জিয়া বাইরে আসেন তাদের অবস্থা আগের চাইতেও শোচনীয় হবে। যদি মুক্তি পেয়ে খালেদা জিয়া বেরিয়ে আসেন তাহলে এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশে নতুন করে জোয়ার সৃষ্টি হবে।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন নিয়ে আজকে চক্রান্ত চলছে। মাঠ যখন ডিমান্ড করে তখন রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তে আসতে হয়। জনগণ কী চায় রাজনীতিবিদদের তা অনুধাবণ করতে হয়। জনগণ যা চায় তা করতে যদি আমরা ব্যর্থ হই, জনগণ আমাদের ওপর অভিমান করবে। ১৭ কোটি মানুষ আজকে মুক্তি চায়। এজন্য সকলকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মোজাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, হাজী নাজিমউদ্দিন মাস্টার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।